Home / বিশেষ সংবাদ / হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে মহিলাদের জুমা’র নামাজ আদায়ে রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা
Hajigonj Masjid

হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে মহিলাদের জুমা’র নামাজ আদায়ে রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা

ইতিহাস-ঐতিহ্যের পরিচিতি নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে হাজীগঞ্জ উপজেলার অন্যতম প্রধান স্থাপত্য নিদর্শন ‘ হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ।’বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন, বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণাধীন, আহমাদ আলী পাটওয়ারী (রহ.) ওয়াকফ এস্টেটের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান এটি। কালের বিবর্তনে মসজিদটি ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নিয়েছে। চাঁদপুর জেলাবাসীর প্রাণপ্রিয় এবং প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের এ গৌরবোজ্জ্বল ও অনন্য প্রতিষ্ঠানটি আল্লাহর অলীগণের রুহানী ফয়েজ ও বরকতে শিরক-বিদাত মুক্ত ‘এবাদতের মারকাজ’ হিসেবে খ্যাত। হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদের কারামত ও ফয়েজ-বরকতে ‘পূণ্যভূমি হাজীগঞ্জ’ আজ ধন্য এবং গৌরবান্বিত।

যার ফলে জেলার বিভিন্ন উপজেলার দূর-দূরান্ত থেকে আসা ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার মহিলা মনোরম পরিবেশের বিশেষ ব্যবস্থার কারণে প্রতি জুমাবার দিন পৃথকভাবে ও যথাযথ পর্দার শালিনতা বজায়ে রেখে এ মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করে থাকেন। প্রতি জুমাবারেই অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মা-বোনরা হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে জুমা’র দিনের এ বিশেষ মর্যাদার কারণে নামাজ আদায় করতে আগ্রহী হয়ে থাকেন। মুসলমানদের ধর্ম কর্মের মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে প্রতিদিন কয়েক হাজার মুসলমান ধর্মপ্রাণ মানুষজন হৃদয়ের টানে এখানে এসে নামাজ আদায় করে প্রশান্তি অনুভব করেন ।

ধর্মপ্রাণ মানুষ তাদের আত্মিক প্রশান্তি লাভের পাশাপাশি থাকেন ইহলৌখিক এবং পরলৌকিক কল্যাণ লাভের প্রত্যাশায় ইবাদত বন্দেগীতে থাকেন । এই মসজিদে প্রতিবছর লাখ লাখ মুসল্লীগণের নামাজ ও নামাজের প্রাসঙ্গিক সেবা, পরিস্কার- পরিচ্ছন্নতা, আলো-বাতাস ও ধর্মীয় কার্যক্রমের সার্বিক ব্যবস্থাপনা সহ সাধ্যের মধ্যে সর্বোত্তম স্বভাব কার্যক্রম পরিচালনা করছে হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদের কমপ্লেক্স বোর্ড।

এরই একটি পর্বহলো মহিলাদের জমুআে নামাজও অন্যান্য নাজাজের সুষ্ঠু ব্যবস্খা করা। নামাজের পূর্বে শত শত মা-বোনরা পর্দার সহিত সু-উচ্চ মিনারের মসজিদের উত্তর পাশের নিচ তলায় সংরক্ষিত নামাজ আদায়ের স্থান ও উপরের তলায় সমবেতভাবে নামাজ আদায় করার ও নফল এবাদতের সুয়োগ বিদ্যমান রয়েছে। মসজিদ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ মহিলাদের জামাতের সহিত জুমার নামাজ আদায়ের বিধি-ব্যবস্থা গ্রহণে যথেষ্ঠ আন্তরিকতার সহিত পালন করে থাকে। ফলে হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে জুমা’র দিনের বিশেষ মর্যাদার কারণে আযানের পর পর মসজিদ হয়ে উঠে কানায় কানায় পরিপূর্ণ। সবধরণেরই মুসল্লীদের নামাজ আদায়ে কর্তৃপক্ষ নিয়ে থাকে বিশেষ ব্যবস্থা।

Hajigonj-Boro-Masjid

ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় মসজিদটিতে পবিত্র রমজান মাসেও রোজা রেখে দূর-দূরান্ত থেকে লক্ষাধিক রোজাদার মুসল্লি জুমাতুল বিদা ও জুমার নামাজের জামাতে সমবেত হয়ে থাকেন। এ ছাড়াও প্রতি জুমায় মসজিদের ভেতরের উভয় তলা পরিপূর্ণ হয়ে মসজিদের সামনের মাঠ কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠে বেলা সাড়ে ১২ টার আযানের পর পর।

মোতওয়াল্লী ও সমাজ বিজ্ঞানী প্রিন্স শাকিল আহমেদ জানান , এ মসজিদে শতভাগই পরিষ্কার -পরিচ্ছন্ন পরিবেশে মুসল্লীগণ যাতে নামাজসহ অন্যান্য নফল এবাদত-বন্দিগী করতে পারে – এমন ব্যবস্থা নিয়মিতভাবে করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন্ মসজিদ পরিচালনা কমিটি । প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল, স্বেচ্ছাসেবকদল, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, ফ্যান, লাইট, সামিয়ানা টানানো ও ফ্লোরে নামাজ আদায়ের উপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণ, বৃষ্টিবাদল হলে মাঠ থেকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা, ওয়াসব্লক পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ রাখার উদ্যোগ- প্রভৃতির কমতি নেই।

এ জন্যেই প্রতি জুমাবারে দূর-দূরান্ত থেকে হাজার হাজার মুসল্লী ও নারী হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে এসে জুমা আদায় করতে আসেন। ইসলামে জুমার দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত। প্রতি জুমাবারে ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণের আগমন থাকে।

চাঁদপুরে প্রায় ৭ হাজার ৫শ’র মত জামে মসজিদ ও পাঞ্জেগানা মসজিদ রয়েছে। চাঁদপুরের আর কোনো মসজিদে মহিলাদের জামাতের সহিত জুমার নামাজ আদায়ের বিধি-ব্যবস্থা আছে বলে জানা নেই। এরপর বিশেষ দিবস হলে বিশেষ আলোচনা, সমসায়িক বিষয়ের উপর আলোচনা, সরকার ও ইফার নির্দেশিত বিষয়ের আলোচনা হয়ে থাকে হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে। এর নিয়মিত খতিব হিসেবে সুদীর্ঘ বেশ ক’বছর যাবৎ দায়িত্ব পালন করছেন-মুফতি আবদুর রউফ। ’

নামাজ আদায়ে

এ ব্যাপরে প্রায় ২৫ বছর ধরে হাজীগঞ্জ আহমেদিয়া কাওমী মাদ্রাসার মোহতামীম ও হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদের খতিবের দায়িত্বে নিয়োজিত হাফেজ মাওলানা মুফতি আবদুর রউফ বলেন,‘ আমি এর খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালনের প্রথম জুমা থেকেই মিনারের উত্তর পাশে নিচ তলায় মহিলাদের জুমার নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা দেখে আসছি। আগের তুলনায় বর্তমানে মহিলাদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছ্।ে ফলে প্রতিবছরই মসজিদ পরিচালনা কমিটিকে বাড়তি ব্যবস্থাও নিতে হচ্ছে। ’

এর কারণ জানতে চাইলে তিনি আরোও বলেন, ‘ মূলত : জেলার ব্যবসা-বাণিজ্যেরও কেন্দ্রবিন্দু এ হাজীগঞ্জ বাজারটি। ইতিহাস ও ঐতিহ্যে, শিক্ষা, যোগায়োগ, কৃষিপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ ,মৎস্য-উৎপাদন-বিপনন ও বাজারজাতকরণে আজ হাজীগঞ্জ বাজারটি ঊল্লেখ্যযোগ্য স্থান করে নিয়েছে। বাজারটি প্রতি শুক্রবার সাপ্তাহিক গ্রাম্য হাট-বাজারের ন্যায় প্রচুর ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম হয়ে থাকে।

বাজারের সাথে সবদিকের যোগাযোগ ব্যবস্থাও অতীতের চেয়ে অনেক উন্নত। যার কারণে অনেক মহিলা শুক্রবাওে চিকিৎসার প্রয়োজনে ডাক্তারের কাছে ঔষধ ক্রয়ে, নিজদের পছন্দমত শপিং, প্রবাসীদের সহধর্মিণীগণ সাংসারিক ও পরিবার পরিজনের সামাজিক আচার -অনুষ্ঠানের কেনাকাটা এবং ছেলে-মেয়ের শিক্ষা উপকরণ কেনার জন্যে বাজারে আসেন। অধিকাংশ ধর্মপ্রাণ মহিলাগণ এ সুবাদে যোহরের নামাজের পরিবর্তে এ মসজিদে নামাজ আদায়ের সু-ব্যবস্থা রয়েছে বিধায়ই জামাতের সহিত জুমার নামাজ আদায় করতে আগ্রহী হয়ে উঠেন। তা’ছাড়া যোহরের নামাজও কাযা হলো না তাদের। শপিংমলগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতার সংখ্যাও বাড়ছে দিন দিন।

এদিকে – রাজধানী ঢাকাসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুর জেলাসদরের সব উপজেলার সাথে এর চমৎকার সড়ক ও ট্রেন যোগাযোগ রয়েছে। যার কারণে দিন দিন এর ব্যবসা- বাণিজ্যেরও পরিসরের ব্যাপ্তি ঘটছে। অসংখ্য যানবাহনের ভীড় ক্রমাগতভাবে রেড়েই চলছে। তাই নারী-পুরুষ উভয়েরই হাজীগঞ্জ বাজারে আগমন বাড়ছে। ’

Haziganj Boro Mosjid

প্রতীকী ছবি

প্রসঙ্গত, হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ এ অঞ্চলের অন্যতম মুসলিম নিদর্শন হিসেবে পরিচিত হওয়ার পেছনে রয়েছে মসজিদটির নির্মাণকালে স্থাপত্যশিল্পের যে নির্মাণশৈলী। তা যেন স্থাপত্যশিল্পেরই প্রকৃষ্ট উদাহরণ। মসজিদের বিভিন্ন অংশে যে কারুকাজ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে- তা কালের সাক্ষ্যবহন করছে।

ঐতিহ্যবাহী এ মসজিদ তিন অংশে নির্মিত হয়েছে। সব মিলে ২৮ হাজার ৪শ ৫ বর্গফুট আয়তনের ওই মসজিদের প্রথম অংশে হজরত মাও.আবুল ফারাহ জৈনপুরী রহ. ভারী শরীর নিয়ে মাচার ওপর বসেন এবং তাঁর পবিত্র হাতে চুন-সুরকির মসলা কেটে কেটে মেহরাবসংলগ্ন দেয়াল ঘুরিয়ে মসজিদের প্রথম অংশের ওপরের দিকে ‘সুরা ইয়াছিন’ ও ‘সুরা জুমআ’ লিপিবদ্ধ করেন। বর্তমান সময়ে সংস্কারকালে তা উঠিয়ে মসজিদের কবরস্থানে দাফন করা হয়।

ওই মসজিদের অনন্য সুন্দর মেহরাবটি কাচের ঝাড়ের টুকরো নিখুঁতভাবে কেটে কেটে মনোরম ফুলের ঝাড়ের মতো আকর্ষণীয় নকশায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে। মাঝের অংশটি ৭৭ টি আকর্ষণীয় পিলার ও ঝিনুকের মোজাইক দিয়ে নির্মিত হয়েছিল। তৃতীয় অংশটিতে রয়েছে তিনটি বিশাল গম্বুজসহ আকর্ষণীয় বিশাল সু-উচ্চ মিনার। যা মসজিদটিকে আলাদা বিশেষত্ব দান করেছে।

১৯৫৩ সালে ১শ ২২ ফুট উঁচু এ মিনারটি তৈরি হয়েছিল। সুউচ্চ এ মিনারটিরও আলাদা একটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আর তা হলো মসজিদের প্রধান প্রবেশদ্বারের ওপর এত উঁচু মিনারের উপস্থিতি সেকালের নির্মাণ বিষয়টিকে ভাবিয়ে তোলে। মিনারের উঁচু প্ল্যাটফর্মে বহু মুসল্লি ও পর্যটক উঠে হাজীগঞ্জের চারপাশের দৃশ্য অবলোকন করেন। প্রতিদিন মিনারের উঁচু থেকে একযোগে মাইকে আজান প্রচার করা হয়। বহু দূরদূরান্ত থেকে এ আজানের ধ্বনি শোনা যায়।

কারুকার্যখচিত মসজিদের সর্বশেষ পূর্ব প্রাচীরে পবিত্র কালেমা শরিফ খচিত চীনা বাসনের টুকরো দিয়ে তৈরি মনোরম ফুলের ঝাড়ের মতো আকর্ষণীয় করে সাজানো বিশাল ফটক। মসজিদে প্রবেশের সুবিশাল ফটকের আকর্ষণীয় সাজ দর্শনার্থীদের মন কেড়ে নেয়। পাথরের সাজে সজ্জিত অসংখ্য তারকাখচিত তিনটি বড় বড় গম্বুজ পর্যটকদের আকর্ষণ করে। মসজিদটি পবিত্র রমজান মাসে জুমাতুল বিদার জামাতের জন্য ঐতিহাসিকভাবে প্রসিদ্ধ রয়েছে। এক সময় পাক-ভারত উপমহাদেশের মধ্যে হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ অনন্য বৃহত্তম জুমাতুল বিদা নামাজের জামাত উদযাাপনের প্রতিষ্ঠান হিসেবে খ্যাত ছিল।

এদিকে হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদকে কেন্দ্র করেই আজ চাঁদপুর জেলার ঐতিহ্যবাহী একটি জনপদের নাম হাজীগঞ্জ। জেলার ব্যবসা-বাণিজ্যেরও কেন্দ্রবিন্দু এ হাজীগঞ্জ । ইতিহাস ও ঐতিহ্যে আজ হাজীগঞ্জ স্বনামে স্থান করে নিয়েছে। প্রতিটি মানুষের মধ্যে বিদ্যমান সম্রúীতি ও ভ্রাতৃতে¦র সুদৃঢ়বন্ধন। রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে রয়েছে সম্প্রীতি ও সৌহাদ্যপূর্ণ মনোভাব।

এখানকার জনগগোষ্ঠীর সিংহভাগই মুসলমান। নদীমার্তৃক পলিমাটির নয়নাভিরাম সবুজ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য চারপাশ থেকে ঘিরে রেখেছে হাজীগঞ্জ জনপদটিকে। মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা। হাজীগঞ্জে ডাকাতিয়া নদী আর বোয়ালজুরি খাল বছরের সব ঋতুতে কৃষি ও মৎস্য খাতে রাখছে অসামান্য অবদান। সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতায় ধর্ম-কর্ম, শিক্ষা-দীক্ষা,বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থানসহ বিভিন্নমুখী উন্নয়নমূলক কার্যক্রম এবং সেবার প্রেক্ষিতে হাজীগঞ্জ আজ এক সমৃদ্ধ জনপদ। হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ কমপ্লেক্সের জন্য হাজীগঞ্জ ধন্য।

তথ্য সূত্র : অধ্যক্ষ ড.মো.আলমগীর কবির পাটওয়ারীর রচিত আহমাদ আলী পাটওয়ারী রহ.ওয়াকফ এস্টেট এবং হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ কমপ্লেক্স এর ‘ স্মারক গ্রন্থ ’, মোতওয়াল্লী ও সমাজ বিজ্ঞানী প্রিন্স শাকিল আহমেদ, ওয়েবসাইট ও খতিব মুফতি আবদুর রউফ। লেখক : শিক্ষক, প্রাবন্ধিক ও ভার-প্রাপ্ত সম্পাদক , সাপ্তাহিক হাজীগঞ্জ , চাঁদপুর।

আবদুল গনি,
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫