ইসলামি শরিয়তের বিধানে জুমার দিনের মাহাত্ম্য সীমাহীন। এই দিন মানব জাতির আদি পিতা হজরত আদম আ. এর দেহের বিভিন্ন অংশ সংযোজিত বা জমা করা হয়েছিল বলেই দিনটির নাম জুমা রাখা হয়েছে। জুমার দিনকে আল্লাহপাক সীমাহীন বরকত দ্বারা সমৃদ্ধ করেছেন। এটি সপ্তাহের সেরা দিন। হাদিস শরিফের বর্ণনা অনুযায়ী এই বরকতময় দিনটি আল্লাহপাক বিশেষভাবে উম্মতে মুহাম্মদিকে সা. দান করেছেন।
নবী করিম সা. ইরশাদ করেন, সর্বাপেক্ষা উত্তম ও বরকতময় দিন হচ্ছে জুমার দিন। এই পবিত্র দিনে হজরত আদম আ. কে সৃষ্টি করা হয়েছিল এবং এই দিনে তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়। (মুসলিম শরিফ)
জুমার দিনের গুরুত্ব
►► শুক্রবার দিনে প্রথম মানুষ হযরত আদম(আ) কে সৃষ্টি করা হয়েছে। ►► এই দিনে হযরত আদম(আ) বেহেশতে স্থান দেয়া হয়েছে।। ►► এই দিনেই হযরত আদম(আ) পৃথিবীতে অবতরণ করেন।। ►► সপ্তাহের সাতটি দিনের মাঝে শুক্রবারই সে দিন যেদিন হযরত আদম(আ) মৃত্যুবরণ করেছিলেন।। ►► শুক্রবার দু’আ কবুলেরওদিন, তবে দুয়ায় নিষিদ্ধ/হারাম কিছু চাওয়া যাবে না।। ►► কিয়ামত ১০ ই মুহাররম শুক্রবারে হবে।
জুমার নামাজের ফজিলত
আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, ‘জুমার দিনে মসজিদের দরজায় ফেরেশতারা দাঁড়িয়ে যান; পর্যায়ক্রমে লেখতে থাকেন প্রথমে আগমনকারীদের ফজিলত। সর্বপ্রথম আগমনকারী একটি উট কুরবানি করার সওয়াব লাভ করেন, পরের জন গরু, তারপরের জন দুম্বা, তারপরের জন মুরগি এবং তারপরের জন ডিম কুরবানি দেয়ার সওয়াব লাভ করেন। অতপর ইমাম যখন মিম্বারে আসেন, তখন তারা খাতা গুটিয়ে রেখে মনযোগ দিয়ে খুৎবা শুনেন। (বুখারি : ৮৭৬, মিশকাত : ১৩৮৪)
হযরত আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ(সঃ) বলেন,
“যদি কেউ যথাযথভাবে ওযু (পবিত্রতা অর্জন) করল, এরপর জুমার নামাযে আসলো, মনোযোগের সাথে খুতবা শুনলো এবং নীরবতা পালন করে, তার ঐ শুক্রবার এবং পরবর্তী শুক্রবারের মধ্যবর্তী সকল ছোটোখাট গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেয়াহবে, সাথে অতিরিক্ত আরো তিনটি দিনেরও।” (মুসলিম শরিফ)(সুবহানাল্লাহ)
আল্লাহ আমাদের জানার এবং বুঝার তৌফিক দান করুন।। আমীন।।