হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে জুমাতুল বিদার বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ

পবিত্র রমজান মাসের শেষ শুক্রবার ২৭ রমজান (২৯ এপ্রিল) পবিত্র জুমাতুলবিদা।

আন্তর্জাতিকভাবে এ দিনকে আল-কুদস দিবসও বলা হয়। পবিত্র ‘জুমাতুলবিদা’হচ্ছে রমজান মাসের শেষ শুক্রবার। অনেক মুসল্লী শুক্রবারকে‘গরীবের হজ্জ্বের দিন’বলে আখ্যায়িত করে থাকেন।

প্রতিবছরের ন্যায় এবারো চাঁদপুর জেলার সর্ববৃহৎ,প্রাচীন ও ঐতিহাসিক হাজীগঞ্জ বড় জামে মসজিদে‘পবিত্র জুমাতুলবিদা’পালনে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

ধর্মমন্ত্রণালয়ের সকল নিদের্শনা অনুসরণ করে জন্যে হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে জুমাতুল বিদায় বিশেষ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ঠ একটি দায়িত্বশীল সুত্র ২৫ এপ্রিল জানান ।

এ মসজিদে বেলা ১০ টার পর থেকেই চাঁদপুরের বিভিন্ন উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী,ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার,শিক্ষক, ছাত্রসহ জেলার দুরদূরান্ত থেকে সকল পেশার মুসল্লিগণ জুমাতুল বিদা নামাজ আদায়ে ঐতিহাসিক হাজীগঞ্জ বড় জামে মসজিদে সমবেত হন।

মুসল্লিদের সুন্দর ও সুষ্ঠভাবে নামাজ আদায় করতে সড়কে প্রয়োজনীয় কাপড়ের দস্তর বিছানোর ব্যবস্থা রাখা হবে এবং মসজিদ কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণে আন্তরিক রযেছেন আমাদের মসজিদ কমিটি।

তা’ছাড়াও বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থা, আইন-শৃংখলা রক্ষায় হাজীগঞ্জ পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবক থাকবে। মসজিদ এরিয়া ব্যতীত হাজীগঞ্জ বাজার রোডে বিভিন্ন সুবিধাজনক স্থানে বিশেষ ওজুর ব্যবস্থা রাখা হবে বলে তিনি জানান।

গৃহীত ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে: প্রশাসনিক কর্মকর্তা,পৌর মেয়র,চেয়ারম্যান,ভাইস চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী গণ্যমান্য ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ,নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ, প্রচারণায় মাইকিং, মসজিদ সংলগ্ন এলাকা, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন দোকান পাটের বারান্দায় নামাজ পড়ার উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ।

এরইমধ্যে রয়েছে বাজারে অস্থায়ী অজুর ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ,প্রয়োজনীয় সংখ্যক মাইক,অসংখ্য স্বেচ্ছাসেবক সদস্য ও আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যগণ।

বর্তমানে শতাধিক এতেহকাফ অংশগ্রহণকারীর বিভিন্ন প্রকার সেবা প্রদানে মসজিদ কমিটি কাজ করে যাচ্ছে।

নামাজ পড়াবেন মুফতি আবদুর রউফ।

প্রতীকী ছবি

প্রসঙ্গত,হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ কর্তৃপক্ষ মুসলমানদের জন্য ঈদের নামাজ আদায়, জুমাতুল বিদা ও লাইলাতুর ক্বদর অতি পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ। তাই মসজিদ কর্তৃপক্ষ মুসল্লিদের স্বার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে আসছে।

এ ছাড়াও মসজিদ কর্তৃপক্ষ নামাজ আদায়ে ভ্রাম্যমাণ ওযুর ব্যবস্থা, মসজিদ আঙিনায় সামিয়ানা টানান,প্রয়োজনীয় স্বেচ্ছাসেবকদল গঠন, হাজীগঞ্জ বাজারের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কুমিল্লা মহাসড়কে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত সকল প্রকার যানবাহন সচল রাখতে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিশ্চিত,
মোকাব্বের নিয়োগ ইত্যাদি কর্ম সম্পাদন করে থাকে ।

জুমাতুল বিদা ও লাইলাতুল কদর দু’টো বিষয়ই মুসলমানদের কাছে পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ। সেদিক লক্ষ্য রেখে মসজিদ কর্তৃপক্ষ সুন্দর ও সুষ্ঠ পরিবেশ বজায় রাখতে সবরকম ব্যবস্থা নিয়ে থাকে।
ফলে দেশের ছোট-বড় সকল মসজিদেই মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের সুবিধার্থে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় ।

এ ছাড়াও ঐতিহাসিক বড় মসজিদে ঈদুল ফিতরের ৩টি জামাত অনুষ্টিত হবে। প্রথমটি হবে সকাল সাড়ে ৬ টায়, দ্বিতীয়টি হবে সকাল ৮টায় এবং তৃতীয় জামাত হবে বেলা ১০টায় ।

জেলার সকল মসজিদে সরকারের ধর্মমন্ত্রণালযের নিদের্শিত সকল নিয়ম মেনে চলার জন্যে চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে বলে চাঁদপুর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মো.খলিলুর রহমান
২৫ এপ্রিল তাঁর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তা‘জানান।

চাঁদপুরে সকল উপজেলায় ৭ হাজার ২শ ৪৬টি জামে মসজিদ রয়েছে ।

আবদুল গনি,
চাঁদপুর টাইমস ,
২৬ এপ্রিল ২০১৯

Share