সবার সুখে হাসব আমি, কাঁদবো সবার দুখে, নিজের খাবার বিলিয়ে দিবো অনাহারীর মুখে। কবি জসীমউদ্দীনের এই কবিতার সুন্দর কথার মতোই নিজের খাবার বিলিয়ে না দিলেও নিজেদের স্বেচ্ছাশ্রমে পথে-প্রান্তরে বিভিন্ন পশু পাখি ও ১০১টি একটি কুকুরকে খাওয়ালেন চাঁদপুরের একঝাঁক সংস্কৃতি ও সামাজিক কর্মীরা।
জানাযায়, করোনাকালীন সঙ্কট মুহূর্তে প্রাণীকূল রক্ষায় “জীবন সুরক্ষা অভিযাত্রা”য় পথে নেমেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী সংসদ ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন চাঁদপুর জেলা শাখার সদস্যবৃন্দ।
গত ৮ মে থেকে চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা ও প্রধান সড়কের বিভিন্ন স্থানে থাকা কাক, শালিক বিড়াল সহ ১০১টি কুকুরকে তারা পথে-প্রান্তরে হেঁটে হেঁটে খাবার দিতে দেখা গেছে ।
গত বছর থেকে মহামারী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে লকডাউনে বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন মার্কেট ও দোকান পাট বন্ধ থাকতে দেখা যায়। যার কারণে রাস্তার এসব বোবা পশু পাখি গুলো ঠিকমতো খাইতে না পারায় তারা ক্ষুধার্ত হয়ে অনেক অসহায় হয়ে পড়েছে।
যেসব প্রাণী গুলো চাইতে পারেনা, বলতে পারেনা, সেইসব প্রাণীকূল রক্ষার দায়িত্বে পথে নেমেছেন এসব সেচ্ছাসেবী সংস্কৃতি ও সামাজিক কর্মীরা। তারা মনে করেন পাণী জগৎ বাঁচলে রক্ষা পাবে পরিবেশ। পরিবেশ রক্ষা পেলে বাঁচবে মানুষ, মানুষ বাঁচলে বাঁচাবে পৃথিবী। সেই চিন্তাধারা থেকেই তারা এসব অসহায় প্রাণীকুল রক্ষায় মাঠে নেমেছেন।
বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী সংসদ ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন চাঁদপুর জেলা শাখার নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে জানা যায় প্রাণীকুল রক্ষায় পশু-পাখিকে খাওয়ানো তাদের এই কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য চলতে থাকবে।
চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় রাস্তাঘাটে পশু-পাখিকে খাওয়ানো কার্যক্রমে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়, বাংলাদেশ উদিছি শিল্পি সংসদ চাঁদপুর জেলা শাখার সহ-সভাপতি ও বিশিষ্ট কণ্ঠ শিল্পী কৃষ্ণ সাহা, সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন বাবর, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি প্রণব ঘোষ, শহর কমিটির আহ্বায়ক পৃথ্বীরাজ, সংগঠনের সদস্য মুখলেসুর রহমান, প্রশিকা সরকার, মৈত্রী দত্ত ও পুজা কর্মকার সহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্য বৃন্দ।
শুধু পশু পাখিকে খাওয়ানোর কার্যক্রমই নয় করোনার কান্তি কাল গত ২০২০ সাল থেকে এই সময় মানুষের হতাশা দুর করে মহান মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ এর চেতনাকে ধারণ করে মানুষের পাশে মানুষ দাঁড়িয়ে মানুষ কে বাঁচাতে সচেতনেতা মুলক কর্মসূচী, স্বেচ্ছ শ্রমে ১৪০০০ হ্যান্ড স্যানিটইজার তৈরি ও বিতরন, ৬০০ বাড়ি-ঘরে সুরক্ষা জল ছিটানো, শ্রমজীবী মানুষকে ত্রান ( চাল,ডাল,লবন, আটা,আলু,পেয়াজ,তেল,সাবান,) ১৪০০ পরিবারের বাড়ি-ঘরে পৌঁছে দেওয়া, তৈরী খাবার (খিচুড়ি -ডিম) শ্রমজীবী ক্যান্টিন নামে শ্রমজীবী মানুষের মুখে খাবার তুলে দিয়েছেন এসব সেচ্ছাসেবী কর্মীরা।
প্রতিবেদক:কবির হোসেন মিজি