Home / উপজেলা সংবাদ / হাজীগঞ্জ / জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত মানুষের পাশে থাকতে চাই : মেজর রফিক
Major-Rafiq

জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত মানুষের পাশে থাকতে চাই : মেজর রফিক

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টর কমান্ডার ও চাঁদপুর-৫ আসনের সাংসদ মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম বলেছেন, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত মানুষের পাশে থেকে সেবা করতে চাই। ২১ বছরের রাজনৈতিতে হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তিবাসীর কাছে যা পেয়েছি তার মূল্যায়ন জননেত্রী শেখ হাসিনাও দাবিদার।

সোমবার (২৬ মার্চ) বিকালে হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজার বিশ্বরোডে উপজেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিপক্ষদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আজকে আমার বিরুদ্ধে ক্ষুদ্র একটি গুপ চক্রান্ত করে আসছে। আমি বলে দিতে চাই কোন লাভ হবে না। এরইমধ্যে আপনাদের উইকেট পড়ে গেছে। তারা নৌকার পক্ষে না গিয়ে বিএনপি-জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। তাই এখনও সময় আছে মূল ধারার রাজনৈতিতে ফিরে আসুন। তা না হলে নাকে ক্ষত দিয়ে আসতে হবে। তখন আর আপনাদের আচরনে হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তির জনগন ক্ষমা করবে না।’

তিনি আরো বলেন, মৃত্যু আমার সহচোর আমি জীবন বাজী রেখে দেশের নেতৃত্ব দিয়ে যুদ্ধ করেছি। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাত পর্যন্ত জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে ছিলেননা। তিনি চট্টগ্রাম গিয়েছিলেন সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাসের জন্য। যে অস্ত্র পরবর্তী সময়ে নিরস্ত্র বাঙ্গালীদের উপর ব্যবহার করা হয়েছিল। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণই ছিলই মূলত: স্বাধীনতার ঘোষক। জিয়াউর রহমান মাত্র পাঠক ছিলেন। কোন সৈনিক স্বাধিনতার ঘোষক হতে পারেনা। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান আমার সিনিয়র ছিলেন। তিনি জীবিত থাকা কালীন কখনো বলেনি ‘আমি স্বাধীনতার ঘোষক’। বিষয়টি নিয়ে তার দলের কিছু অতি উৎসাহী নেতা অতিরঞ্জিত করছে। তিনি বলেন স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত শক্তি এখনো বাংলাদেশের স্বাধীনতা নস্যাৎ করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্প উন্নত দেশের উন্নত হয়েছে। শিঘ্রই আমরা উন্নত দেশের কাতারে অবস্থান করবো।

হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আলী আশরাফ দুলালের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক গাজী মো. মাইনুদ্দীনের পরিচালনায় জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আ স ম মাহবুব উল আলম লিপন, সাধারন সম্পাদক আলহাজ¦ সৈয়দ আহমদ খসরু, উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি কাজী আনোয়ারুল হক হেলাল, আলহাজ্ব সেলিম মিয়া, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতা কাউছার আহম্মেদ, জেলা পরিষদের সদস্য হাজী জসিম, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মাসুদ ইকবাল, যুগ্ন-আহবায়ক জাকির হোসেন সোহেল, পৌর যুবলীগের আহবায়ক হায়দার পারভেজ সুজন, যুগ্ন-আহবায়ক তাজুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু ইউছুফ মোহন গাজী,শহর ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মেহেদী হাছান রাব্বি। হাজীগঞ্জের বুকে এ প্রথম এ ধরনের জনসভায় প্রায় ৩০ হাজার লোকের সমাগম ঘটে। এর পূর্বে দুপুর থেকেই খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে বিভিন্ন ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও স্কুল-কলেজের নেতা-কর্মীরা জনসভায় আসতে থাকে। বিকেল ৪টার মধ্যেই জনসভাস্থল কানায় কানায় পরিপূর্ণ।

প্রতিবেদক- জহিরুল ইসলাম জয়