পৃথিবীতে সবাই সমান ভাগ্য নিয়ে জন্মায় না। কেউ সুখে বসবাস করেন আবার কাউকে সারা জীবন সংগ্রাম করে বেঁচে থাকতে হয়। তাদের জীবনের সংগ্রাম যেন শেষ হয় না। ভাগ্য তাদের পক্ষে কাজ করতে চায় বলেই এমন মানুষরা মনে করেন। তেমনি দুজন কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী অহিদ ও শাহপরান। জীবন সংগ্রামে জয়ী হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
সফলতার আশায় বুক বেধে পথ চেয়ে আছেন আজও। তারা স্নাতক পাস করে ভবিষ্যতে স্বপ্ন দেখছেন সরকারি চাকুরীর। বলছিলাম চাঁদপুরের কচুয়ার দোয়াটি গ্রামের কলেজ পড়ুয়া দুই শিক্ষার্থী অটোবাইক চালক অহিদ হোসেন ও শাহপরান এর সংগ্রামী জীবনের কথা।
শাহপরান উপজেলার দোয়াটি গ্রামের আয়াত আলী ছেলে। দোয়টি গ্রামে হতদরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। অভাবের সংসার হওয়ায় অনেক কষ্টে লেখাপড়া করে পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। সংসারে রয়েছেন বাবা,মা দুই বোন ও দুই ভাই। সংসারে বাবার উপার্জন ক্ষমতা না থাকায় পড়াশুনার পাশাপাশি অটো রিকশা চালিয়ে সংসার চালাচ্ছেন এবং পরিবারের উপার্জন ক্ষমতায় সাহায্য করছেন।
অন্যদিকে একই এলাকার হতদরিদ্র আবু মিয়ার ছেলে অহিদ হোসেন। পরিবারে রয়েছে মা বাবা,দুই ভাই ও দুই বোন। তার বাবা একজন দরিদ্র রিক্সা চালক। বাবার সংসারের হাল ধরতে সেও চালাচ্ছেন অটো রিকশা।
দু’শিক্ষার্থী অহিদ ও শাহপরান জানান, বাবার সামর্থ্য না থাকায় ভালো কলেজে ভর্তি সম্ভব হয়নি। পরিবারের অস্বচ্ছল ও হতদরিদ্র হওয়ায় বাবা মায়ের পক্ষে সদস্যদের ভরন পোষন সম্ভব নয়। সেজন্য বাবাকে সহযোগিতা কিংবা পরিবারের সাহায্য করতে বেছে নিয়েছেন অটোবাইক চালানো। তবে তাদের স্বপ্ন পড়াশুনা শেষ করে সরকারি চাকরি করার।
বাবা আবু মিয়া ও আয়াত আলী বলেন,অভাব অনটনের কারনে সন্তানদের ভালো কোনো কলেজে পড়াশুনা করাতে পারেনি। তারা অনেকে কষ্টে জীবন সংগ্রামে জীবন জীবিকা নির্বাহ করছে। পড়াশুনার পাশাপাশি অটো রিকশা চালিয়ে সংসারের যোগান দিচ্ছে। তবে ছেলেদের সরকারি চাকরি পেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতা কামনা করছেন পরিবার।
এব্যাপারে পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো.বিল্লাল হোসেন মোল্লা বলেন, দু’মেধাবী শিক্ষার্থী অহিদ ও শাহপরানকে উপ-বৃত্তি, শিক্ষা উপকরণসহ তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।
প্রতিবেদক:জিসান আহমেদ নান্নু,২৩ আগস্ট ২০২০
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur