চাঁদপুর

‘জিয়ার নাম জনতার হৃদয় পার্লামেন্টে পাস হয়ে ইতিহাসে মিশে গেছে’

বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম বলেছেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের পরে আওয়ামী লীগ দেশটা চালাতে পারেনি। তখন দেশে অসহনীয় দুর্বিক্ষ শুরু হয়েছিলো। সেনাবাহিনীর শৃঙ্খলা ভেঙ্গে গিয়েছিলো, বিশ্ব বিদ্যালয়ের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। তখন শেখ মুজিব মানুষকে ভাত দিতে পারেনাই, কাপড় দিতে পারেনাই, তার দলের ছাত্রলীগ, যুবলীগ, লালবাহিনী  দেশে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছিলো। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার মাত্র দুই বছরের মাথায় দেশটাকা আবার সুন্দরভাবে গড়ে তুলেছিলো। সারা দেশের মধ্যে আবার শৃঙ্খলা ফিরে এসেছিলো। সে কারণে এদেশের মানুষ এখনো বিএনপিকে খোঁজে, জিয়াউর রহমানকে খোঁজে। তারেক জিয়ার মাঝে শহীদ জিয়াউর রহমানের প্রতিচ্ছবি খুঁজে পায়।

২৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার বেলা ১১টায় চাঁদপুরে মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে কুমিল্লা বিভাগীয় বিশেষ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে থাকা আওয়ামী লীগ এবার স্বাধীরতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের খেতাব কেড়ে নেয়ার ষড়যন্ত্র করছে। অথচ ২৫ মার্চের রাতে জিয়াউর রহমানকে কেউ স্বাধীরতার ঘোষণা দিতে বাধ্য করেনি। আওয়ামী লীগ যখন ব্যর্থ হয়েছিলো, নেতৃত্ব দেয়ার মতো কাউকে যখন খুজে পাওয়া যায়নি, তখন জিয়াউর রহমান নিজের জীবন বাজি রেখে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন।

চাঁদপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মনবাড়িয়া- তিন জেলা এই বিভাগীয় সভায় বিশেষ সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম আরো বলেন, আওয়ামী লীগ স্বাধীরতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব কেড়ে নেয়ার ষড়যন্ত্র করছে।

বিমানবন্দর থেকে জিয়ার নাম মুছে ফেলা আর ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা এক নয়। আওয়ামী লীগকে পার্লামেন্ট আইন করে তাদের নেতার নাম লিখাতে হয়, কিন্তু জিয়াউর রহমানের নাম লিখতে পার্লামেন্ট লাগে না। জিয়াউর রহমানের নাম জনতার হৃদয় পার্লামেন্টে পাস হয়েছে। যা বাংলাদেশের ইতিহাসের সাথে মিশে গেছে।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের দুঃসাশনের দিন শেষ হয়ে যাচ্ছে। সময় বেশি নাই। এক আল জাজিরার নিউজে আপনাদের অবৈধ ক্ষমতার মসনদ নড়ে গেছে। তারা এখন পালিয়ে যাওয়া পথ খুঁজছে। যে রাস্তা আপনারা দেখিয়েছেন, সেই রাস্তায় আপনাদেরকে দৌড়াঁতে হবে। আজকের পুলিশ আগামি দিনে মামলা নিয়ে আপনাদের দরোজার কড়া নাড়বে।

বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অ্যাড. বোরহান উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটি কুমিল্লা বিভাগীয় সদস্য সচিব ও কুমিল্লা বিভাগীয় কিমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোস্তাক মিয়ার পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রবাসী কল্যান বিষয়ক সম্পাদক ও চাঁদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক, শিল্প বিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি লায়ন হারুন, বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক
ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা এমপি, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোতাহের হোসেন পাটওয়ারী, ড. খন্দকার মোশােরফ হোসেনের ছেলে ড. মারুফ, চাঁদপুরের প্রবীণ বিএনপি নেতা সফিউদ্দিন আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. হামিদ মাস্টারসহ তিন জেলার অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

প্রতিবেদকঃআশিক বিন রহিম,২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১

Share