Home / চাঁদপুর / শবে কদরে ব্যস্ত চাঁদপুরের জিলাপী তৈরির কারিগররা
জিলাপী

শবে কদরে ব্যস্ত চাঁদপুরের জিলাপী তৈরির কারিগররা

আজ পবিত্র লাইলাতুল কদর। হাদিস শরিফে আছে, ২০ রমজানের পর যেকোনো বিজোড় রাত কদর হতে পারে। তবে ২৬ রমজানের দিবাগত রাতেই লাইলাতুল কদর আসে বলে আলেমদের অভিমত। শবে কদরের এ রাতে পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ হয় এবং এই রাতকে কেন্দ্র করে কোরআন শরিফে ‘আল-কদর’ নামে একটি সুরাও নাজিল করা হয়।

এ দিনটি উপলক্ষ্যে চাঁদপুরে ব্যস্ত মিষ্টান্ন জিলাপী তৈরীর কারিগররা।

৯ মে রোববার সন্ধ্যায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শহরের নামিদামি রেস্টুরেন্টের মিষ্টি বিক্রয় হলেও ঐতিহ্যবাহি পালবাজারের মিষ্টান্ন বিক্রেতা কয়েকটি দোকানের কারিগররা ব্যস্ত জিলাপী তৈরী কাজে। তৈরীকৃত জিলাপী দোকানের অন্যান্য লোকজন চাহিদা অনুযায়ী ক্রেতাদের কাছে সরবরাহ করতে দেখা যায়। এই বাজারে বিটিশ শাসন আমল থেকেই মিষ্টি তৈরি করা হয়। এখানে মানিক রেস্টুরেন্ট, মা সুইটস, বসু সুইটস, মিহির রেস্টুরেন্ট, বাদল রেস্টুরেন্ট। শবে কদরের দিনে পালবাজারের ৫টি দোকানে প্রায় ১৫শ থেকে ২ হাজার কেজি জিলাপি বিক্রয় হয়।

জিলাপি তৈরির কারিগর বিদ্যুৎ ঘোষ জানায়, এ দোকানে প্রতিদিন প্রায় ৫০কেজি জিলাপী তৈরি করা হয়। ধর্মীয় ও উল্লেখযোগ্য দিনগুলোতে বেশী জিলাপী তৈরী করা হয়। আজ শবে কদর উপলক্ষ্যে প্রায় ৩শ’ থেকে ৪শ’ কেজি জিলাপী তৈরী করা হয়েছে।

ঘোষ কেবিনের মালিক খোকন চাঁদপুর টাইমসকে জানায়, এখানে ৫টি দোকান রয়েছে। সকলেই ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী পরিমান মত জিলাপী সরবরাহ করছে। জিলাপী কেজি প্রতি মাত্র ৮০ টাকা করে বিক্রয় করা হয়। তবে আজকে কেজি প্রতি ৯০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত জিলাপি বিক্রয় করা হয়।

মানিক রেস্টুরেন্টের পরিচালক রিপন চাঁদপুর টাইমসকে জানায়, শবে কদরসহ অন্যান্য ধর্মীয় দিনগুলোতে বিক্রয় বৃদ্ধি পায়। তবে চিনি ও ময়দার দাম বেড়ে যাওয়ায় জিলাপির দামও একটু বেড়ে যায়।

জিলাপী ক্রয় করতে আসা হোসেন শেখ, মাহবুব পাঠান, তাজুল ইসলাম ও রফিক সর্দারসহ কয়েকজন জানায়, মৃত পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজনের রুহের মাগফেরাত কামনা ও বিভিন্ন সমস্যায় নিজ এলাকার মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে অংশ গ্রহন করবেন।
শবে কদরের পবিত্র এই রজনীতে করোনা মহামারি থেকে রক্ষার জন্য মহান আল্লাহর দরবারে ইবাদত ও দোয়া করবেন মুসল্লীরা।

সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেট