চাঁদপুর টাইমস স্বাস্থ্য ডেস্ক | আপডেট: ১০:৩১ অপরাহ্ণ, ২১ আগস্ট ২০১৫, শুক্রবার
জিরা একটা অত্যন্ত জনপ্রিয় মসলা এবং রান্না করা খাবার সুস্বাদু করতে জিরার জুড়ি নেই। জিরা’র ইংরেজি নাম Cumin আর বৈজ্ঞানিক নাম Cuminum cyminum। রান্নার কাজে জিরা’র ব্যবহার আমাদের সকলেরই জানা। কিন্তু জিরার স্বাস্থ্য উপকারিতা হয়তো অনেকেরই অজানা। আপনি জেনে নিতে পারেন জিরার ছয়টি স্বাস্থ্য-উপকারিতা:
জেনে নিন গুণের জিরার ৬টি অসাধারণ স্বাস্থ্য উপকার
শক্তি বর্ধক:
জিরাতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে আয়রন। আয়রন শক্তির মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে, শরীরে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি মাধ্যমে সেলুলার স্তরে অক্সিজেনের পরিমান বৃদ্ধি করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধক:
গবেষণায় পাওয়া গেছে জিরাতে আছে শক্তিশালী ক্যান্সার বিরোধী বৈশিষ্ট্য। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে এটা পেট ও লিভার ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষামূলক প্রভাব রাখতে পারে। জিরাতে বিদ্যমান এন্টি-ফ্রির্যা ডিকেলস উপাদান ক্যান্সারের বিস্তার রোধ করে।
পৌষ্টিক স্বাস্থ্য:
জিরা পাচনতন্ত্রের জন্য খুবি উপকারী। বদহজম, ডায়রিয়া, পেট ফাঁপা প্রভৃতি রোগ উপসমে জিরার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। জিরা বমি বমি ভাব দূর করে। জিরাতে রয়েছে “thymol”, যা পাকস্থলির এসিড উৎপাদন করে খাদ্য থেকে সর্বোচ্চ পুষ্টি লাভে সহায়তা করে।
দূষণরোধ:
জিরা শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে। কিডনি ও লিভারের কার্যকারিতা বাড়িয়ে দিয়ে বিপাক ক্রিয়ার উন্নতি ঘটায়। এতে শরীর থেকে দূষিত পদার্থগুলো বের হয়ে যেতে পারে। ফলে বিভিন্ন রোগের সংক্রমন থেকে শরীর পায় সুরক্ষা।
ত্বকের সুরক্ষায়:
লাল লাল ফুসকুড়ি, ব্রণ ইত্যাদি শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দেয়ার জন্য হয়। বিপাক ক্রিয়ার মাধ্যমে শরীর থেকে দূষিত পদার্থগুলো বের হয়ে গেলে ত্বকের উপর এর প্রভাব কমে আসে। জিরা পাচনতন্ত্রের যত্ন নেয়ার মাধ্যমে ত্বকের সুরক্ষাও দিয়ে থাকে।
মাতৃস্তনের দুধের পরিমান বাড়ায়:
শক্তি বৃদ্ধি ছাড়াও জিরাতে বিদ্যমান আয়রন মাতৃস্তনে দুধের পরিমান বৃদ্ধি করে। “thymol” দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি করে, কারণ এটি গ্রন্থি-ক্ষরণ উদ্দীপিত করে।
এছাড়াও দুর্বল স্মৃতি, পোকামাকড়ের কামড় ও কাঁটা ফোটা বেদনার চিকিত্সায় জিরা উপকারী। তাই যত তাড়াতাড়ি পারেন আপনার প্রতিদিনের খাদ্যে কিছু জিরা যোগ করুন।
চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/এমআরআর/২০১৫
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur