বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম) এর ৪০তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা বিএনপির আয়োজনে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২জুন বুধবার বেলা ১১টায় চাঁদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রবাসী কল্যান বিষয়ক সম্পাদক ও চাঁদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের সভাপতিত্বে আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান শাহজাহান মিয়া, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা মিয়া, সাঈদ হোসেন, চাঁদপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সলিম উল্লাহ সেলিম।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেওয়ান মো. সফিকুজ্জামান ও মুনির চৌধুরীর পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, যুগ্ম আহ্বায়ক মাহাবুব আনোয়ার বাবলু, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জসীম উদ্দীন খান বাবুল, জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিমুস সালাম, চাঁদপুর পৌর বিএনপি’র সভাপতি আক্তার হোসেন মাঝি, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হারুনুর রশিদ, যুগ্ম-আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির, সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি শাহজালাল মিশন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন খান, মতলব দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম সাগর, মতলব উত্তর উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক জিতু, হাইমচর উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক খোরশেদ কোতোয়াল, ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি মফিজুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তাঁর বর্ণাঢ্য জীবন ও কর্মে এদেশের মাটি ও মানুষের হৃদয়ে মিশে আছেন। ইতিহাসের এই মহান নেতা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েই থেমে যাননি। তিনি অস্ত্র হাতে স্বাধীনতা সংগ্রামে লড়াই করেছেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সসয়ে মাত্র সাড়ে তিন বছরে বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে উন্নত রাষ্ট্রের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। তিনি নিজের জীবনকে বাংলার মাটি ও মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছেন।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন আরো বলেন, আওয়ামী লীগ গায়ের জোরে ক্ষমতা দখল করে আছে। তারা ভোট ডাকাতি করে মানুষের গণতন্ত্রকে হরণ করেছে। এজন্য তাদেরকে বলা হয় ফ্যাসিবাদী সরকার। জনগণ তাদের ঘৃণা করে। এই অবৈধ সরকার তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, আমাদের প্রিয় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারারুদ্ধ করে রেখেছে। তিনি অসুস্থতার জন্য জামিনে সামরিক মুক্তি পেলেও এখনো অবরুদ্ধ আছেন। আমরা তার স্থায়ী মুক্তি দাবি করছি।
সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, আমরা যারা বিএনপির রাজনীতি করি তাদের কাছে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান একটি আদর্শের নাম। জিয়াউর রহমান কেবল স্বাধীনতার ঘোষনাই দেননি, তিনি নিজের জীবন বাজি রেখে অস্ত্র হাতে স্বাধীনতা সংগ্রামে লড়াই করেছেন। তিনি ৭নভেম্বর জাতীয় বিল্পব ও সংহতির ডাক দিয়ে সিপাহী জনতাকে একত্রিত করেছিলেন। তিনি এদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছেন। এদেশের মানুষেে ভাগ্যউন্নয়নে জিয়াউর রহমানে প্রশংসনীয় উদ্যোগের সুফল আজো আমরা ভোগ করছি।
বক্তারা বলেন, সেদিন খুনিরা জিয়াউর রহমানকে হত্যা করেছে, কিন্তু তার আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি। তাই দেশের এই রাজনৈতিক ক্লান্তিকালে, মানুষের অধিকার আদায়ে জিয়াউর রহমানের আদর্শের সৈনিকেরা লড়াই করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ যতোই বাকশালি কায়দায় ক্ষমতা ধরে রাখতে গণতন্ত্রের গলাটিপে ধরুক, বিএনপির নেতাকর্মীরা এদেশের জনগণকে সাথে নিয়ে তার সমুচিত জবাব দিবে। আওয়ামী লীগ এখনো বিএনপির জনপ্রিয়তাকে ভয় পায় বলেই জিয়া পরিবারকে নিয়ে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির চেয়ারপার্সন থেকে শুরু করে তৃণমূল নেতাকর্মীদেররও একেরপর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। আমরা অচিরেই এই স্বৈরাচারীর সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটাতে দূর্বার আন্দোলন করবো।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সস্পাদক হাজী মোশারফ হোসেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বাায়ক ফেরদৌস আলম বাবু, খলিলুর রহমান গাজী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হযরত আলী ঢালী, জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মানিকুর রহমান মানিক, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খান আকাশ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিম জুয়েল, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল গাজী বাহার, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ইমাম হোসেন গাজী, সাধারণ সস্পাদক ইসমাইল হোসেন পাটোয়ারিসহ চাঁদপুরের ৮ উপজেলার বিএনপি, অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দর উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবেদকঃআশিক বিন রহিম,২ জুন ২০২১