নিজেকে জিনের বাদশা পরিচয় দিয়ে অনেক দিন থেকেই প্রতারণা করে আসছিলেন নাজমুল হুদা (২৯)। সাধারণ মানুষের টাকা- পয়সা থেকে শুরু করে গরু, ছাগল ও হাঁস মুরগি হাতিয়ে নেয়ার ঘটনাও ঘটিয়েছেন। এমনই অভিযোগ পেয়ে তাকে কথিত এক জ্বীনের বাদশাকে পুলিশে দিয়েছেন রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সাংসদ আয়েন উদ্দিন।
রোববার সকালে তিনি তাকে নগরীর বোয়ালিয়া থানা পুলিশে সোপর্দ করেন।
আটক নাজমুল হুদা নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর থানার দামকুড়া এলাকার আব্দুস সামাদের ছেলে। সে নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকত।
রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সাংসদ আয়েন উদ্দিন জানান, নাজমুল হুদা নিজেকে জিনের বাদশা বলে পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করছিল। জিন তাড়ানো, পানি পড়া, তেল পড়ার মাধ্যমে বিভিন্ন অসুখ সারানোর নাম করে দীর্ঘদিন ধরেই সে মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। এ বিষয়ে সুলতানা রাজিয়া নামে এক নারী তার কাছে অভিযোগ নিয়ে আসেন। পরে খোঁজ নিয়ে তিনি জানতে পারেন, নাজমুল হুদা অনেকের সঙ্গে এমন প্রতারণা করেছেন। গ্রামে গ্রামে তিনি রোগী ধরার এজেন্ট নিয়োগ করে রেখেছেন। এমনই এক এজেন্টের মাধ্যমে রাজিয়ার জন্ডিস আক্রান্ত কন্যাকে ঝাঁড় ফুঁক দিয়ে চিকিৎসা করছিলেন নাজমুল। এরই মধ্যে নগদ টাকা নিয়েছেন। কাজ না হলে আবারো টাকা চান। ঢাকা থেকে তার গুরু এসে চিকিৎসা করবে বলে এবার আরো বেশি টাকা দাবি করেন। পরে নাজমুলকে কৌশলে বাড়িতে ডেকে নেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করার পর জিনের বাদশা প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার করেন। এরপর তাকে পুলিশ ডেকে ধরিয়ে দেয়া হয়।
প্রতারণার শিকার সুলতানা রাজিয়া জানান, তার নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে জিনে ধরেছে বলে ১৪ মাস থেকে নাজমুল হক প্রতারণা করে আসছিল। জিন তাড়ানোর নাম করে প্রায়ই নাজমুল হুদা তার কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। মেয়ের সুস্থতার কথা চিন্তা করে তিনি টাকা দিয়েছেন। কিন্তু তার মেয়ে সুস্থ হয়নি। অবশেষে বিষয়টি তিনি সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিনকে জানান।
বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমান উল্লাহ জানান, প্রতারক নাজমুল হুদাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত গত ব্যবস্থা নেয়া হবে।(সমকাল)
নিউজ ডেস্ক:
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৮:২০ পিএম, ০৩ ডিসেম্বর ২০১৭, রোববার
এএস