চাঁদপুর টাইস ডেস্ক:
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষাপট নিয়ে জাসদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা পছন্দ করেছেন না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় নেতাদের জাসদের সমালোচনা না করারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি জাতির জনকের শাহাদাতবার্ষিকী জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষাপট তৈরি করার জন্য জাসদকে সরাসরি অভিযুক্ত করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি। এরপর একই অভিযোগ করেছেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি। তারই ধারাবাহিকতায় গত কয়েকদিন নানাভাবে এ প্রসঙ্গে উভয় পক্ষে বক্তব্য পাল্টা বক্তব্য চলছে। এ নিয়ে আওয়ামী লীগে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। অনেকেই
স্পর্শকাতর বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কয়েকজন শীর্ষ নেতার সঙ্গে কয়েক দফায় অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় জাসদের সমালোচনা না করার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি এই ব্যাপারে সতর্ক থাকার জন্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপিসহ দলের সংশ্লিষ্ট নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন।
এ সব আলোচনায় দলের বর্তমান এবং গত কমিটির কয়েকজন শীর্ষ নেতা উপস্থিত ছিলেন। তাদের কয়েকজন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অতীতের সব কিছুকেই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখছেন। সংশ্লিষ্ট সবাইকে ক্ষমাও করেছেন। তবে তিনি কিছুই ভোলেননি। মন্ত্রিসভার সর্বশেষ বৈঠকেও প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়টি তার সহকর্মীদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলেছেন, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বাধীন জাসদ সরকার এবং ১৪ দলের অন্যতম শরিক রাজনৈতিক দল। এ কারণে জাসদকে জড়িয়ে কোনো মন্তব্য না করাই সমীচীন। তা ছাড়া বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাও দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিতর্কিত ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। অনেকে ওয়ান ইলেভেনের সময়ে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। তাদের নিয়েই রাজনীতি ও সরকার পরিচালনা করছেন প্রধানমন্ত্রী।