জামিন পেলেন ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খান

চাঁদপুরের ‌লক্ষীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সেলিম খানকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় জামিন দিয়েছেন আদালত।
৮ জানুয়ারি রোববার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আছাদুজ্জামান জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় ৩০ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সেলিম খানের আইনজীবী শাহিনুর রহমান।

গত বছরের ১ আগস্ট সেলিম খানের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক আতাউর রহমান বাদী হয়ে সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলাটি করেন। এই মামলায় ১২ অক্টোবর আদালত সেলিম খানের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ‘স্থাবর ও অস্থাবর মিলে সেলিম খানের ৩৭ কোটি ৬১ লাখ ৬৭ হাজার ৩৮৫ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে এবং পারিবারিক ও অন্যান্য বাবদ ১ কোটি ৬ লাখ ৩৮ হাজার ৩১০ টাকা পাওয়া গেছে। এসব সম্পদের বিপরীতে ৪ কোটি ১৪ লাখ ২৪ হাজার ৫৭৬ টাকা আয়ের গ্রহণযোগ্য তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে। বাকি ৩৪ কোটি ৫৩ লাখ ৮১ হাজার ১১৯ টাকার সম্পদ জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত।’

এতে আরও বলা হয়েছে, ‘সেলিম খান অবৈধ উপায়ে ৩৪ কোটি ৫৩ লাখ ৮১ হাজার ১১৯ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন, যা তার জ্ঞাতআয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। এ ছাড়া তিনি ৬৬ লাখ ৯৯ হাজার ৪৭৭ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। সেলিম খান যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেছেন, তা যাচাই-বাছাই করে অসঙ্গতি পাওয়া গেছে। লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর মৌজায় সেলিম খানের ১৯ দশমিক ৮৯ একর জমি, ঢাকার কাকরাইলে একটি পাঁচতলা ভবন, কাকরাইলে ৭১৫ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ভূঁইগড় এলাকায় ১০ তলা বাড়িসহ মোট ২৬ কোটি ৪২ লাখ ৩২ হাজার ২১ টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদ রয়েছে।’

এ ছাড়া এজাহারে উল্লেখ করা হয়, সেলিম খানের ছয়টি ড্রেজার, তিনটি প্রাইভেট কার, জিপ, একটি পিস্তল, একটি শটগান, আসবাব, পাঁচ ভরি স্বর্ণালংকার, একটি মোটরসাইকেল, ইলেকট্রনিক সরঞ্জামাদি, ৯টি চলচ্চিত্র নির্মাণ ও আমদানিতে বিনিয়োগ, ৫৮টি চলচ্চিত্র নির্মাণে অনুমতির নিবন্ধন ফি জমা, ব্যাংক হিসাবে জমা ও হাতে নগদসহ আরও ১১ কোটি ১৯ লাখ ৩৫ হাজার ৩৬৪ টাকার অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে।

বার্তা কক্ষ, ৯ জানুয়ারি ২০২৩

Share