জামায়াতে ইসলামীর নতুন আমির মকবুল আহমাদের বিরুদ্ধে একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার প্রাথমিক তথ্য প্রমাণ রয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক হান্নান খান।
তিনি বলেছেন, ‘মকবুলের বিরুদ্ধে তদন্তে অগ্রগতি শুরু হয়েছে। তবে তদন্তের বিষয়ে এখনই সব আনুষ্ঠানিকভাবে বলা যাবে না।’
সোমবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে ধানমন্ডিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘মকবুলের নাম রাজাকারের তালিকায় রয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে সাত থেকে ১১ জনকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। সে বিষয়টি তথ্য-উপাত্তে স্পষ্ট। আমাদের কাছে এতদিন অভিযোগ ছিল না। একটি অনলাইনে (নিউজ পোর্টাল) করা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। এখনও প্রাথমিক তদন্ত চলছে।’
ফেনী জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মীর আবদুল হান্নানের অভিযোগ, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার কমান্ডার ছিলেন মকবুল। তারই নির্দেশে ফেনীর স্থানীয় রাজাকার, আলবদর বাহিনীর সদস্যরা ফেনী কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন নেতা মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা ওয়াজ উদ্দিনকে চট্টগ্রামে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে মকবুল আহমাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ অনুসন্ধান করতে ফেনী গেছেন ট্রাইব্যুনালের কর্মকর্তারা।
মকবুল আহমাদের গ্রামের বাড়ি ফেনী জেলার দাগনভূঁঞা উপজেলার পূর্বচন্দ্রপূর ইউনিয়নের ওমরাবাদে। পেশায় তিনি স্কুল শিক্ষক ছিলেন। ফেনী মডেল হাইস্কুলের শিক্ষকতা থেকে অবসরের পরই জামায়াতের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই গ্রামের বাড়ি যাওয়া থেকে বিরত থাকেন তিনি।
জামায়াতের সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামী গ্রেফতারের পর বিগত প্রায় ৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি দলটির ভারপ্রাপ্ত আমিরের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
(উৎস- জাগো নিউজ)
নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৩:০০ পিএম, ১৪ নভেম্বর ২০১৬, সোমবার
ডিএইচ