Home / জাতীয় / রাজনীতি / জামায়াত-বিএনপি যেকোনো ষড়যন্ত্র করলে মোকাবিলা হবে রাজপথে: মায়া
জামায়াত

জামায়াত-বিএনপি যেকোনো ষড়যন্ত্র করলে মোকাবিলা হবে রাজপথে: মায়া

জামায়াত-বিএনপি জোটের কোনো ষড়যন্ত্র বিজয়ের মাসে আমরা হতে দিতে পারি না, দেব না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম বলেছেন, আর যদি ষড়যন্ত্র করেন তাহলে কিন্তু মোকাবিলা রাজপথে হবে ইনশাল্লাহ এ কথা পরিষ্কার বলতে চাই। এ সময় নেতাকর্মীদের তৈরি থাকার কথাও বলেন মায়া চৌধুরী।

সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিখাচিরন্তন প্রাঙ্গণে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের মহান বিজয় ও শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে সমাবেশে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম বলেন, বিজয়ের মাস আমাদের আনন্দের মাস, পবিত্র মাস। এই মাস কেউ কলঙ্কিত করুক, এই মাসে কেউ অস্ত্রবাজি করুক তাকে এ দেশে রাজনীতি করার অধিকার আমরা দিতে পারি না।

মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম বলেন, আমরা নভেম্বরের শেষদিকে বলেছিলাম, যখন বিএনপি নাননানভাবে উসকানি দিয়ে, ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে তারা ক্ষমতায় আসার একটা পায়তারা এবং স্থিতিশীল সরকারকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে। আমরা তখনই বলেছিলাম, জামায়াত-বিএনপি জোটের কোনো ষড়যন্ত্র বিজয়ের মাসে আমরা হতে দিতে পারি না, দেব না।

১০ তারিখে আওয়াজ দিয়েছিলেন, মানুষকে আতঙ্কিত করেছিলেন, ঢাকা শহরে তারা জীবন থাকতে নাকি পল্টন ছেড়ে যাবেন না উল্লেখ করে তিনি বলেন, অথচ তারা রাতে কি করল? তাদের দলীয় কার্যালয়ে বোমার কারখানা পাওয়া গেছে। পুলিশ-মানুষ হত্যা করার যারা ষড়যন্ত্র করেছিল এই সরকারকে একটা নাজেহাল অবস্থায় ফেলার জন্য কিন্তু আপনাদের দোয়া ও আল্লাহর রহমতে তা করতে পারেনি।

তিনি আরো বলেন, তাতে কি হইছে, পুরানা পল্টন ছাইড়া নাকে খত দিয়া গোলাপবাগের গরুর হাটে গিয়া মিটিং করছে। সেই জায়গায় ১০-১৫ হাজার লোক নিয়া মিটিং কইরা তারা আজ কি হইছে, ভুয়া। এই ভুয়া দিয়ে কোনো কাম হবে না বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের অন্যতম জ্যেষ্ঠ এই নেতা।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের সমাবেশে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, বিএনপি হলো ষড়যন্ত্রকারী। বিজয় মাসে ষড়যন্ত্র করলে দাঁত ভাঙা জবাব দেওয়া হবে।

আমু বলেন, ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হত্যা করে আরেকটা পাকিস্তান বানানোর চেষ্টা করা হয়েছিল স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিরা। এরাই এখন বিজয় মাসকে বিতর্কিত করার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দফা দিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি সংবিধান পরিবর্তন করার জন্য কমিটি গঠন করেছে। তাদের উদ্দেশ্য কখনও সফল হবে না।

আওয়ামী লীগের আরেক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি সংবিধান মানে না। দেশের সব অর্জন নস্যাৎ করতে চায়। যারা একাত্তরে আমাদের মা-বোনদের নির্যাতন করেছিল সেই একই শক্তি এবং একই বিদেশি শক্তি বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে আবার তাদের সঙ্গে মাঠে নেমেছে।

সভায় আরও বক্তব্য দেন- জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, ওয়ার্কাস পার্টি সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, জাসদের সাধরণ সম্পাদক শিরিন আখতার, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফজলে নুর তাপস, আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, সাম্যবাদীর দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় পার্টির (জেপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম, ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, গণ আজাদী লীগের সভাপতি এস কে শিকদার, গণতন্ত্র পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান প্রমূখ।

নিজস্ব প্রতিবেদক, ২০ ডিসেম্বর ২০২২