অনেক গর্জন আর ভোটারদের প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি দিয়েও জামনাত নিজের জন্মভূমিতে জামানত ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) মহাসচিব ড. মুহাম্মদ শাহজাহান।
এবারের নির্বাচনে চাঁদপুর-৪ আসনের ১১৮টি কেন্দ্রে তিনি ভোট পেয়েছেন মাত্র এক হাজার ৭৪টি। অথচ নির্বাচনে তার কর্মী ছিল দুই হাজারেরও বেশি।
জানা গেছে, ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে এ গঠিত চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসন। এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩,৬৯,১২৯ জন । পুরুষ ভোটার হচ্ছে ১,৯২,৭৬৮ জন। নারী ভোটার হচ্ছে ১,৭৬,৩৬১ জন। চাঁদপুর-৪ আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ছিল ১১৮টি। এসব কেন্দ্র পরিচালনায় বিএনএম মহাসচিব মুহাম্মদ শাহজাহানের কর্মী কাজ করে দুই হাজারের বেশি। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের অনেক কারাবন্দি নেতাকর্মীকে জেল থেকে জামিনে ছাড়িয়ে নেন তিনি। ভোটের আগে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েও মন জয়ের চেষ্টা করেন ভোটারদের। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। অবশেষে কেবল হারেননি, জামানতও খুইয়েছেন তিনি।
তবে নিজের অবস্থান টের পেয়ে নির্বাচনের একদিন আগে সংবাদ সম্মেলন করে কালোটাকা আর পেশিশক্তির ধুয়া তোলেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বিরুদ্ধে।
একসময় বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় থাকা মুহাম্মমদ শাহজাহান বিএনএম গঠন করে নিজ এলাকায় ফিরলেও তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন পুরনো দলের সতীর্থ এবং এলাকার সাধারণ মানুষ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বিএনপি নেতা বলেন, জেলখানায় আটক যেসব নেতাকর্মীকে ভোটের জন্য মুক্ত করে এনেছেন, তারাও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।
চাঁদপুরের এ আসনে এবারের নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন মোট ৮ জন। এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সাংবাদিক মুহম্মদ শফিকুর রহমানের সঙ্গে হেভিওয়েট স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে ছিলেন ড. মোহাম্মদ শামসুল হক ভূঁইয়া(ঈগল), জালাল আহমেদ (ট্রাক), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আব্দুল গনি (আম), বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের বাকী বিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী (ফুলের মালা), তৃণমূল বিএনপি’র মো. আব্দুল কাদের (সোনালী আঁশ), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) ড. মুহাম্মদ শাহজাহান (নোঙর), জাতীয় পার্টির সাজ্জাদ রশিদ (লাঙ্গল)।
প্রতিবেদক: আশিক বিন রহিম,৮ জানুয়ারি ২০২৪