নরসিংদীতে ট্রাক ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নারী ও শিশুসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও সাতজন।
শনিবার রাত ১২টার দিকে পাঁচদোনা-ঘোড়াশাল-টঙ্গী সড়কের নরসিংদী সাকুরার মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। হতাহতরা সিলেটে মাজার জিয়ারত শেষে জাফলং বেড়াতে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
নিহতরা হলেন— সাভারের আশুলিয়ার জিরাবো এলাকার আব্দুর রশিদের স্ত্রী রুবি আক্তার (৩৩), তার মেয়ে রাইমা খান (৫) ও তার ভাতিজা সাদেক খান (৮), কাদির মিয়ার স্ত্রী সামসুননাহার (৬০) ও রাজিয়া (৪০)।
আহতরা হলেন— ইউসুফ মিয়ার ছেলে রশিদ (৪০), জাহের আলীর ছেলে কাজিম উদ্দিন (৪২), সাইফুল ইসলামের মেয়ে সাইফা (১২), হারুন মিয়ার স্ত্রী শারমীন (৪০) ও মেয়ে ইসরাত জাহান (৮), কাদির মিয়ার স্ত্রী সামসুননাহার (৬০) ও অজ্ঞাত (৪০)।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এনামুল হক সাগর এ তথ্য নিশ্চিত করছেন।
জানা যায়, শনিবার সকালে পরিবারের ১৪ সদস্য নিয়ে একটি মাইক্রোবাসযোগে আব্দুর রশিদ সভারের আশুলিয়ার জিরাবো থেকে সিলেটে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে মাইক্রোবাসটির পাঁচদোনা-ঘোড়াশাল-টঙ্গী সড়কের সাকুরা মোড়ে দ্রুতগামী ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে রুবি আক্তার ও তার মেয়ে রাইমা মারা যান।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠায়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত চারজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়। ঢাকা নেওয়ার পথে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়।
দুর্ঘটনার পর পরই পাঁচদোনা-ঘোড়াশাল-টঙ্গী সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহনগুলো রাস্তা থেকে সরিয়ে যানচলাচল স্বাভাবিক করে।
আহত যাত্রী আব্দুর রশিদ বলেন, সিলেটে মাজার জিয়ারত শেষে জাফলং বেড়াতে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে ফেরার পথে একটি ট্রাক আমাদের মাইক্রোবাসের ওপর উঠিয়ে দেয়। এর পর দেখি আমার স্ত্রী ও মেয়েসহ পরিবারের সদস্যরা রাস্তার ওপর পড়ে আছে।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এনামুল হক সাগর বলেন, আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক ট্রাকটিকে আটক করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক,২০ জুন ২০২১