আসেম সম্মেলনের সাইডলাইনে শুক্রবার (১৫ জুলাই) জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে এক সাক্ষাতে বাংলাদেশের সন্ত্রাস বিরোধী লড়াইয়ের সঙ্গে থাকার দৃঢ় সংকল্প ও সংহতি প্রকাশ করেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী।
জাপান প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জাপানকে আমরা পরীক্ষিত বন্ধু ও উন্নয়নে অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করি।
সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী হামলার শেঁকড় খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যমত গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশের বুদ্ধিমান জনগণ এ পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে সক্রিয়।
মিটিং থেকে বেরিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
ইহসানুল করিম জানান, বাংলাদেশের সন্ত্রাস বিরোধী লড়াইয়ের সঙ্গে দৃঢ় সংকল্প ও সংহতি প্রকাশ করেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে।
শিনজো আবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রকল্প সমূহে সরকারি উন্নয়ন সহযোগিতা এবং বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলার তথ্য বিনিময়ের বিষয়ে আশ্বস্ত করেন।
গুলশান হামলায় আক্রান্তদের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি ও সংহতি দেখানোর জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী।
বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে শিনজো আবে বলেন, আসেম সম্মেলন শক্তিশালী বার্তা দেবে, আমরা সন্ত্রাস সহ্য করবো না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাম্প্রতিক গুলশান হামলার শিকার জাপানি নাগরিকদের জন্য আবারো শোক প্রকাশ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, গুলশান হামলার ঘটনায় যারা জীবন হারিয়েছেন জাপান ও বাংলাদেশের মানুষগুলোর পাশাপাশি কয়েকটি বন্ধুপ্রতিম দেশের সেই মানুষগুলো বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজ করছে।
মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিষয়ে তিনি বলেন, জাপানি নাগরিকসহ যারা বাংলাদেশে বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করছে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমি সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছি।
এ সময় অন্যাদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক, মঙ্গোলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ফজলুল করিম এবং বেলজিয়াম ও যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইসমত জাহান।