বাংলাদেশ হতে কয়েকজন দ্বীনি ভাইয়ের এক জামাত দ্বীন প্রচারের উদ্দেশ্যে গেলেন স্পেনে। তারা সেখানে গিয়ে কোন মসজিদ খুজে পাননি।
অবশেষে ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে দেখেন কোন মুসলিম ভাইয়ের নাম পাওয়া যায় কিনা। খুজতে খুজতে অবশেষে একটি নাম পেলেন ডেবিট মোহাম্মদ।
নামের সহিত মোহাম্মদ পেয়ে তাদের ধারনা হলো মুসলমান ব্যতিত কেহ তার নামের সহিত মোহাম্মদ লিখতে পারে না। তাই ইন্টারনেটে দেয়া ঠিকানা অনুযায়ী শত শত মাইল দূরে ডেবিট মোহাম্মদ ভাইয়ের বাড়ী খুজে বেড় করলেন।
বাড়ী গিয়ে দেখে স্কার্ট পড়া এক ভদ্রমহিলা আঙ্গিনায় বসা। তাকে জিজ্ঞেস করলেন। ডেবিট মোহাম্মদ নামে এখানে কেউ বাস করে কিনা।
নাম শুনেই ভদ্র মহিলা বলে উঠলেন। জি হ্যা। এটি ওনার বাড়ী। আমি তার স্ত্রী। তিনি মেহমানদেরকে গেষ্ট রুমে বসিয়ে তার স্বামীকে ডাকলেন।
ডেবিট মোহাম্মদ একটি হাফ প্যান্ট পরিহিত অবস্থায় তাদের সামনে আসলেন। দ্বীনি ভাইয়েরা নিজেদের পরিচয় দিয়ে তার পরিচয় জানতে চাইলেন। জবাবে বললেন, তিনি
মুসলমান পরিবারের সন্তান। কিন্ত মুসলিম আচার আচরন নামাজ কালাম কিছুই তার জানা নেই। কারন সেখানে অন্যান্য সকলেই খৃষ্টান।
তারপর দ্বীনি ভাইয়েরা সেখানে অজু করে নামাজ আদায় করলেন। উহা দেখে ডেবিট মোহাম্মদ ও তার স্ত্রী মুগ্ধ হয়ে গেলেন।
তারপর তাদেরকে ইসলাম সম্পর্কে বিস্তারীত বুঝালেন। তার ঘরে একটি কোরআন শরীফও কাপড়ে মোড়ানো ছিল। কখনো হাত দিয়ে ধরেছিল বলে মনে হয় না।
দ্বীনি ভাইয়েরা উহা খুলে তেলাওয়াত করে তাদেরকে শুনালেন। তাতে তারা আরো মুগ্ধ হয়ে গেল। তার পর তারা স্বামী স্ত্রী তাদের নিকট ইসলামের নিয়ম কানুন শিখলেন। এবং মহিলা সাথে সাথে পর্দা করাও শুরু করে দিলেন।
অতপর: ডেবিট মোহাম্মদ আপসোস করে বলতে লাগলেন। আজ দ্বীনের চর্চা, দাওয়াত, আলোচনা না থাকার কারনে আমরা সব কিছুই ভূলে গিয়েছি।
দ্বীন আমাদের থেকে দূরে সরে গেছে। দ্বীনের দাওয়াত আমাদের কাছে না আসায় আমরা প্রতিনিয়ত গোমরাহীর দিকে ধাবিত হচ্ছি।
ভাগ্গিস আল্লাহ পাক আপনাদেরকে মেহেরবানী করে আমাদের নিকট পাঠিয়েছেন। তাই তারা কৃতজ্ঞ হলো। এবং কিছু অভিযোগ ও আবদার ও পেশ করলো।
আজকে আপনাদের নিকট এত মূল্যবাদ দ্বীন দিয়ে আপনারা দেশে বসে থাকলে আমাদেরতো বেদ্বীন অবস্থায়ই মৃত্যু বরন করতে হতো। আল্লাহ পাক রহম করে আপনাদেরকে আমাদের কাছে নিয়ে এসেছে।
আরো পূর্বে যদি আপনারা দ্বীনের দাওয়াত নিয়ে আসতেন । তবে আমাদের পূর্ব পুরুষ দ্বীন নিয়ে দুনিয়া হতে বিদায় নিতে পারতেন।
হাসরের ময়দানে এর জন্য কে জবাব দিবে? ডেবিট মোহাম্মদ দ্বীনের দাওয়াতের গুরুত্ব বুঝে নিজে সাথে সাথে তাদের সহিত দ্বীনের দাওয়াতে বের হয়ে গেলেন।
এবং উক্ত এলাকায় দ্বীনের দাওয়াত দিয়ে অনেক লোককে মুসলমান বানিয়ে একটি গীর্জাকে মসজিদে রুপান্তর করে ঐ দ্বীনের জামাত অন্যত্র দাওয়াতের কাজে চলে যান।
বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই দাওয়াতে তাবলীগের মেহনতে আল্লাহ পাকের রহমতে অনেক গীর্জা মসজিদে রুপান্তর হচ্ছে এবং অনেক বিধর্মী নও মুসলিম হচ্ছে। আলহামদুলিল্লাহ।
নিউজ ডেস্ক ।। আপডটে, বাংলাদশে সময় ১০:২৪ এএম, ২০ অক্টোবর ২০১৬ বৃহস্পতিবার
এইউ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur