হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা আহমদ শফীর নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। ১৯ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুর ২টার দিকে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন তার ছেলে মাওলানা মোহাম্মদ ইউসুফ মাদানি।
চট্টগ্রামের দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসা মাঠে জনসমুদ্রে পরিণত হয় । সেখানে বড় হুজুর খ্যাত আল্লামা আহমদ শফীকে শেষ বিদায় জানানো হয়।
আল জামেয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মইনুল ইসলাম মাদ্রাসার সাবেক এই মহাপরিচালককে দেখতে শনিবার ভোর থেকেই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসেন তার লক্ষাধিক ভক্ত ও অনুসারীরা। জনতার ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় প্রশাসনকে। তাই জানাজায় যোগ দিতে আসা জনসাধারণের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে হাটহাজারী বাস স্টেশন থেকে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
আরও পড়ুন- আহমদ শফীর মরদেহ হাটহাজারীতে
নামাজের জানাযায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র্যাব ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি ১০ প্লাটুন বিজিবি সদস্য হাটহাজারী, পটিয়া, রাঙ্গুনিয়া ও ফটিকছড়িতে মোতায়েন করা হয়। এছাড়াও ৪ উপজেলায় দায়িত্ব পালন করেন ৭ জন ম্যাজিস্ট্রেট।
১৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীর আসগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বরেণ্য এই আলেম। শতবছর বয়সী আল্লামা আহমদ শফী দীর্ঘদিন যাবৎ বার্ধক্যজনিত জটিলতার পাশাপাশি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।
এদিকে ১৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে অসুস্থ হয়ে পড়েন আল্লামা শফী। রাতে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সকালে হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা মেডিকেল বোর্ডে বসেন।
শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দেন। বিকেলে তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে চট্টগ্রাম থেকে তাকে ঢাকায় আনা হয়েছিলো। আল্লামা শফীর জন্ম চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার পাখিয়ারটিলা গ্রামে।
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur