জাতীয় শিক্ষক-কর্মচারী ফ্রন্ট চাঁদপুর জেলা শাখার আয়োজনে মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকেল ৪ টায় শহরের হাজী মহসীন রোড শিক্ষা গবেষণা কেন্দ্র কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন-ভাতা থেকে প্রতিমাসে ১০ শতাংশ কর্তনের গেজেট প্রকাশের প্রতিবাদে চাঁদপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শিক্ষক নেতারা।
সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মতো পূর্ণ বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান এবং সব ধরণের বৈষম্য দূরীকরণসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক নেতারা ১১ দফা দাবি উত্থাপন করেন। এতে সকল নেতৃবৃন্দ একাত্মতা ঘোষণা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষক কর্মচারী ফ্রন্ট চাঁদপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক অধ্যক্ষ শাফায়াৎ আহমদ ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন-ভাতা থেকে চার শতাংশ অবসর, দুই শতাংশ কল্যাণ ভাতার জন্য কেটে রাখা হতো। কিন্তু হঠাৎ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় গেজেট প্রকাশ করে জানিয়েছে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীরা অবসরের জন্য ছয় শতাংশ ও কল্যাণ ভাতার জন্য চার শতাংশসহ মোট ১০ শতাংশ টাকা বেতন থেকে কেটে নেওয়া হবে।
এই ১০ শতাংশ টাকা কেটে নেওয়ার বিষয়টি শিক্ষক সমাজ কখনও মেনে নেবে না। শিক্ষকদের মর্যাদা যতটুকু প্রতিষ্ঠা পেয়েছে তা হয়েছে আন্দোলন-সংগ্রাম করে বলে জানান এই শিক্ষক নেতা।
চাঁদপরে মঙ্গলবার ( ১৮ জুলাই) সংবাদ সম্মেলনের পর ৩০ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ২০ জুলাই চাঁদপুর শহরের শপথ চত্বর মানব বন্ধন, ২৩ জুলাই দাবির স্বপক্ষে-স্ব-স্ব উপজেলায় মিছিল, ৩০ জুলাই জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে শিক্ষক কর্মচারী সমাবেশ ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিক্ষমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান ।
বৃহৎ আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন, “আমাদের ন্যায্য দাবি সরকারের কাছে তুলে ধরছি। আশা করি কর্তৃপক্ষের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। এতেও যদি আমাদের যুক্তিসঙ্গত দাবি মানা না হয় তাহলে দাবি আদায় করতে প্রয়োজনে রাজপথে রক্ত দেব। ”
শিক্ষক নেতারা হুশিঁয়ারী বক্তব্যে দিয়ে বলেন, সরকার আমাদের দাবিসমূহ বস্তবায়নে ব্যর্থ হলে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যেমে পরবর্তী বৃহত্তর কর্মসূচির আলোকে জাতীয় শিক্ষক কর্মচারী ফ্রন্ট চাঁদপুর জেলা শাখা পরবর্তী কর্মসূচি পালন করা হবে। দেশের ৯৮ ভাগ শিক্ষার্থী বেসরকারী মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ অধ্যয়ন করছে। তাদের পাশ কাটিয়ে বৈষম্যের সৃষ্টি করে মানসম্মত শিক্ষ ও শিক্ষার উন্নয়ন ব্যহত হবে। তাই আমরা চাই সরকার বিষয়টি সু-দৃষ্টি দিয়ে ১১ দফা বাস্তবায়নে আন্তরিক হবেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাকশিস নেতা অধ্যক্ষ অধ্যাপক শাফায়াৎ আহমদ ভূঁইয়া, কেন্দ্রিয় বাকশিস নেতা অধ্যক্ষ হারুনুর রশীদ, অধ্যক্ষ মেসবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া, অধ্যক্ষ আ. মালেক, কেন্দ্রিয় বাকশিস নেতা অধ্যাপক মোশারফ হোসেন, অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, অধ্যাপক নূরুল আমিন, অধ্যাপক গোলাম সরোয়ার, অধ্যক্ষ হায়দার আলী, অধ্যাপক শফিউল আলম শাজাহান, অধ্যাপক মোরশেদ আলম।
মাধ্যমিক শিক্ষক নেতাদের মধ্যে ছিলেন, কানিজ বতুল চৌধুরী, মতলবের সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষক নেতা মো. বিল্লাল হোসেন, সদরের আবদুল গনি, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, মো. ফয়েজুল হক ও হিরেন্দ্র দেবনাথ।
প্রতিবেদক : আহম্মদ উল্যাহ
:আপডেট,বাংলাদেশ সময় ৭ : ৩৩ পিএম, ১৮ জুলাই ২০১৭,মঙ্গলবার
এজি