জাতীয়

জাতীয় বেতন কাঠামো অনুমোদন

চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক | আপডেট: ০৩:৪৭ অপরাহ্ণ, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫, মঙ্গলবার

 

অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামো মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। নতুন বেতন কাঠামো অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৭৮ হাজার এবং সর্বনিম্ন ৮ হাজার ২৫০ টাকা। ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামো। আর ভাতা কার্যকর হবে ২০১৬ সালের ১ জুলাই থেকে।

সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা এ তথ্য জানান।

এদিকে মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হলেও পে-স্কেল চূড়ান্ত হতে অনেক কাজ সম্পন্ন করতে হবে বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্র। সেগুলো শেষ হতে আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর পর্যন্ত লেগে যাবে।

পে-স্কেলের সুপারিশ মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদনের পর এখন তা ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। ভেটিং এর পর আইন মন্ত্রণালয় থেকে তা আবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠানো হবে। সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন শেষে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

এ প্রক্রিয়া শেষ হতে কমপক্ষে দু’মাস লেগে যেতে পারে বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ২৪ নভেম্বর দেশের ১৩ লাখ সরকারি চাকরিজীবীর জন্য ১৭ সদস্যের ‘জাতীয় বেতন ও চাকরি কমিশন-২০১৩’ গঠন করে অর্থ মন্ত্রণালয়। ওই বছরের ১৭ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া এ কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন।

কমিশনকে ছয় মাসের মধ্যে সুপারিশসংবলিত একটি প্রতিবেদন তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে কমিশনের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়।

গত বছরের ২১ ডিসেম্বর সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের কাছে প্রতিবেদন তুলে দেন জাতীয় বেতন ও চাকরি কমিশনের চেয়ারম্যান।

বেতন ও চাকরি কমিশন বর্তমান ২০টির পরিবর্তে ১৬টি ধাপে বেতন দেওয়ার সুপারিশ করেছিল। কমিশনের সুপারিশ ছিল সর্বোচ্চ ধাপে ৮০ হাজার টাকা ও সর্বনিম্ন ধাপে আট হাজার ২০০ টাকা।

পরে ৩১ ডিসেম্বর বেতন কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নির্ধারণে প্রতিবেদন পর্যালোচনার জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে সরকার। কমিটিকে ছয় সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছিল। কমিটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সময় দুই দফা বাড়ানো হয়।

চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/ এমআরআর/২০১৫

Share