জাতীয় নেতার বাড়ি যখন পতিতা পল্লি!

জওহরলাল নেহেরু ১৮৮৯-১৯৬৪ ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের রাজনীতিবিদ, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম প্রধান নেতা এবং স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। দূরদৃষ্টিসম্পন্ন, আদর্শবাদী, পণ্ডিত এবং কূটনীতিবিদ নেহেরু ছিলেন একজন আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব। লেখক হিসেবেও নেহেরু ছিলেন বিশিষ্ট।

গঙ্গা নদীর তীরে এলাহাবাদ শহরে এক ভাড়া বাড়িতে কয়েক বছর কাটিয়েছিলেন নেহরুর পরিবার। পুণ্যভূমি প্রয়াগের মীরগঞ্জের ৭৭ নম্বর বাড়ি সেটি।

এই ভাড়া বাড়িতে ১৮৮৯ সালের ১৪ নভেম্বর সেখানে পুত্র জওহরলালের জন্ম দেন মতিলালের স্ত্রী স্বরূপরানি।

পরে অবশ্য মতিলাল সপরিবারে চলে যান এক প্রশস্ত বাংলোয়। জওহরলাল ও তার দুই বোন বিজয়া লক্ষ্মী ও কৃষ্ণা ‘আনন্দ ভবন’ নামক ওই বিশাল বাড়ি বা বাংলোতে পশ্চাত্য সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে গড়ে উঠেন।

তবে যে বাড়িতে জন্মেছিলেন জওহরলাল সেটি ১৯৩১ সালে উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে ভেঙে দেয় স্থানীয় পৌরসভা। এখন তার তেমন কোনো অস্তিত্ব নেই।

ঘিঞ্জি এলাকাটি এখন দেহ ব্যবসায়ীদের আড্ডা। সস্তা প্রসাধনী মেখে দাঁড়িয়ে থাকে দারিদ্র্যের শিকার কতগুলো শুকনো মুখ। মুখে মেকি হাসি। চোখে অভাবের শূন্যতা। তাদের কাছে এখন সবাই সমান। জওহরলাল নেহেরুও তো স্বপ্ন দেখেছেন সমাজতন্ত্রের, যেখানে সবাই সমান!

নিউজ ডেস্ক ।। আপডেট ০৮:৪১ পিএম,০৯ জুলাই ২০১৬,শনিবার
এইউ

Share