জাতীয়

জাতীয় দিবসগুলোতে শিক্ষাঙ্গনে ছুটি বাতিল

জাতীয় দিবসগুলোতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে না। নতুন বছরের শিক্ষাপঞ্জিতে জাতীয় দিবসগুলোর ছুটি বাতিল করে তার বদলে ক্লাস বন্ধ রেখে সংশ্লিষ্ট দিবসের বিষয়ভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

একই সঙ্গে সব বিদ্যালয়কে সরকার ঘোষিত সূচি অনুযায়ী সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ দিবস ও শিক্ষা সপ্তাহ পালন করতে এবং শিক্ষার্থীদের জন্য ডায়েরি ছাপানোরও নির্দেশনা শিক্ষাপঞ্জিতে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সোমবার (১৩ মার্চ ) সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০১৭ সালের ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি প্রকাশ করেছে। এতে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য ৮৫ দিনের ছুটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবস সম্পর্কে বার্ষিক শিক্ষাপঞ্জিতে বলা হয়েছে, ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্ম দিবস, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস, ১৫ আগস্ট জাতির জনকের মৃত্যুবার্ষিকী এবং ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে ক্লাস বন্ধ থাকবে। তবে ওই সব দিবসের বিষয়ভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিদ্যালয়ে দিবসটি উদ্যাপন করতে হবে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাংস্কৃতিক চর্চার প্রসার ও জাতীয় চেতনাবোধ সৃষ্টির লক্ষ্যে এমন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

প্রতিটি বিদ্যালয়কে ‘দৈনিক পাঠের বিবরণী’ নামে ডায়েরি ছাপিয়ে তা শিক্ষার্থীদের দেয়ার নির্দেশনা দিয়ে শিক্ষাপঞ্জিতে বলা হয়েছে। ওই ডায়েরিতে শিক্ষার্থী পরিচিতি, অভিভাবকদের প্রতি পরামর্শ,শিক্ষার্থীদের আচরণবিধি, শিক্ষকদের নাম ও শিক্ষাগত যোগ্যতা, ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার জরুরি নির্দেশাবলি, ছুটির তালিকা এবং ক্লাস রুটিন অন্তর্ভুক্ত থাকবে। ডায়েরিতে প্রতিদিন অভিভাবকদের স্বাক্ষর নেওয়ার বিষয়টিও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার ওপর নজরদারি এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকের সম্পর্ক বৃদ্ধি পাবে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন।

শিক্ষাপঞ্জিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি ছাড়া সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০১৭ শিক্ষাবর্ষে ছুটি ৮৫ দিন। সরকার যেসব দিন সাধারণ ছুটি ও নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করবে, সেসব দিন এই ৮৫ দিনের অন্তর্ভুক্ত হবে।

শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী, ৬ থেকে ২২ জুলাইয়ের মধ্যে অর্ধবার্ষিক বা প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা নিয়ে ৫ আগস্ট ফল প্রকাশ করতে হবে। আর ১১ থেকে ২৮ অক্টোবরের মধ্যে নির্বাচনী পরীক্ষা নিয়ে তার ফলাফল ৫ নভেম্বর প্রকাশ করতে হবে।

এ ছাড়া ২৮ নভেম্বর থেকে ১৩ ডিসেম্বরের মধ্যে বার্ষিক পরীক্ষা নিয়ে ৩১ ডিসেম্বর ফলাফল প্রকাশ করতে হবে। ১ জানুয়ারি থেকে শিক্ষাবর্ষ শুরু হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরীক্ষা নিয়ে বার্ষিক পরীক্ষার উত্তরপত্র এক বছর সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে। কোনো পরীক্ষার সময়কাল ১৪ দিনের বেশি হবে না।

শিক্ষাপঞ্জিতে বলা হয়েছে, ‘কোনো সরকারি কর্মকর্তার পরিদর্শন উপলক্ষে বিদ্যালয় ছুটি দেওয়া যাবে না। সংবর্ধনা বা পরিদর্শন উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের ক্লাস বন্ধ করা যাবে না। সংবর্ধিত বা পরিদর্শনকারী ব্যক্তির প্রতি সম্মান দেখানোর জন্য শিক্ষার্থীদের রাস্তায় দাঁড় করানো যাবে না।’

ছুটির সময়ে ভর্তি ও অন্যান্য পরীক্ষা নেয়ার জন্য প্রয়োজনে বিদ্যালয় খোলা রাখতে হবে। উপবৃত্তি, ভর্তি পরীক্ষা, প্রাথমিক সমাপনী, জেএসসি পরীক্ষার জন্য বিদ্যালয় খোলা রাখতে হবে।

নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১০: ৩৫ এএম, ১৪ মার্চ ২০১৭, মঙ্গলবার
ডিএইচ

Share