জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে নিয়োগ পেলেন চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার কৃতি সন্তান মনিরুল ইসলাম মিলন। শনিবার (২৪ আগস্ট) জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের স্বাক্ষরিত পত্রে উল্লেখ করা হয়, জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্রের প্রদত্ত ক্ষমতা বলে মনিরুল ইসলাম মিলন আপনাকে প্রেসিডিয়াম সদস্য পদে নিয়োগ প্রধান করা হলো। আমি বিশ্বাস করি উক্ত পদে থেকে আপনি জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করার জন্য বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবেন।
উল্লেখ্য, সবশেষ জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ৯ম জাতীয় কাউন্সিলের শেষে দলের চেয়ারম্যান ও সংসদীয় বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের মনিরুল ইসলাম মিলনকে যুগ্ম মহাসচিব থেকে পদোন্নতি দিয়ে চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব দেন। মনিরুল ইসলাম মিলন ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব ভাওয়াল গ্রামে ১৯৭০ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মরহুম জামাল হোসেন পাটোয়ারী ও মিসেস ফাতেমা বেগম দম্পতির ৫ সন্তানের মধ্যে সবার বড়। তিনি গত ২০১৪ ও ২০১৯ সালের জাতীয় সংসদ নিবাচনে চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে লাঙ্গল প্রতীকের প্রাথী হিসেবে দল থেকে মনোনয়ন পান। পরে মহাজোটের অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে সমথর্ন দেন।
মনিরুল ইসলাম মিলন নব্বইর দশকের শুরুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায় ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের শাসনামলে দেশের ও জনগণের স্বার্থে করা সকল উন্নয়নমূলক কমকাণ্ডের কারণে একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা হিসেবে তাঁর মরহুম পিতা জামাল হোসেন পাটোয়ারীসহ পুরো পরিবারের সকল সদস্যদের জাতীয় পার্টি ও এরশাদের প্রতি বেশ দুর্বলতা ছিলো। যে কারণে ১৯৯১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায় এরশাদের হাতে গড়া সংগঠন তৎকালীন সংগ্রামী ছাত্র সমাজ আজকে জাতীয় পার্টির ছাত্র সংগঠন জাতীয় ছাত্র সমাজের রাজনীতিতে যুক্ত হন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াবস্থায় জাতীয় ছাত্র সমাজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি নিবাচিত হয়ে নেতৃত্বের যাত্রা শুরু করেন। একজন ছাত্র নেতা হিসেবে তার মেধাবী যোগ্য দক্ষতার কারণে জাতীয় ছাত্র সমাজ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতির দায়িত্ব পান। জাপার রাজনীতিতে দক্ষ নেতৃত্বের কারণে নেতাকর্মীদের কাছে তিনি পরিচিতি লাভ করেন । রাজনৈতিক অঙ্গনে দলমত নিবিশেষে সকলের কাছে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে জনপ্রিয় হন। চাঁদপুরের বিশেষ ফরিদগঞ্জ উপজেলাবাসীর কাছে জনপ্রিয় একজন নেতা হিসেবে তার বেশ পরিচিতি রয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার, ২৪ আগস্ট ২০২৪