চাঁদপুর টাইমস ডেস্ক::
সিটি নির্বাচন বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব মন্তব্য করা নিয়ে নতুন বক্তব্য বেরিয়ে আসছে। এ সপ্তাহের বিবিসি সংলাপে একজন দর্শকের প্রশ্নে জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ওয়ালি-উর রহমান বলেন ‘বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চেয়েছে বান কি মুন’:
মোঃ আজিজুল হক নামে একজন দর্শক সংলাপে প্রশ্ন করেন, “জাতিসংঘ মহাসচিব সিটি নির্বাচনে অনিয়মের তদন্ত করার পরামর্শ দেয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন যে বিদেশীদের কাছে মাথা নত করা হবে না। এই বক্তব্য কি প্রমাণ করে যে সরকার এক ধরণের চাপের মধ্যে রয়েছে?
এ বিষয়টিকে পুরোপুরি নাকচ করে দেন ওয়ালি-উর রহমান। তিনি বলেন, “বান-কি-মুন জানতেনই না যে এটি স্থানীয় সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন এবং তাঁকে এটা বোঝানোর পর ক্ষমা চেয়েছেন মিঃ মুন।এ সপ্তাহের বিবিসি সংলাপে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও অভিবাসন বিশেষজ্ঞ ডঃ সিআর আবরার, সঞ্চালক আকবর হোসেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ওয়ালি-উর রহমান এবং বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত লেঃ জেনারেল মাহবুবুর রহমান
>তবে বিএনপির নেতা মাহবুবুর রহমান বলেছেন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সম্পূর্ণ ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ এবং সেটা সকলেই প্রত্যাখ্যান করেছে।
তিনি বলেন “বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কেন কারও কাছে মাথা নত করবে?তিনি হিমালয়ের উচ্চতায় মাথা তুলে রাখবেন। কিন্তু এই কথাটা কেন এসেছে? কারণ এ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ, বিদেশে আমাদের ইমেজ নষ্ট হয়ে গিয়েছে।”
বিগত তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ক্ষেত্র থেকে নানা ধরনের প্রশ্ন উঠেছে।
একজন দর্শক
মি:আবরার বলেন “বিদেশীদের বক্তব্য যখন পক্ষে যাবে তখন সেটাকে আমরা জোরেশোরে প্রচার করব, কিন্তু আমাদের দেশের কোন একটা বিষয় নিয়ে তারা যখন নেতিবাচক মন্তব্য করবেন তখন সেটাকে আমরা অস্বীকার করব, এ দ্বৈততা পরিহার করতে হবে।”
তিনি ওয়ালি-উর রহমানের সাথে দ্বিমত পোষণ করে বলেন বিদেশীরা চাপ দিয়েছেন কিনা তা নিশ্চিত না হলেও তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং আন্তর্জাতিক বিশ্বের সাথে দেশের সার্বিক সম্পর্ক ঠিক রাখতে এ উদ্বেগকে অস্বীকার করলে চলবে না।
এ পর্যায়ে একজন দর্শক মন্তব্য করেন, “যে নির্বাচন হয়েছে, বাইরের দাতাগোষ্ঠীরা বা সবাই যা বলছে এটাই বাস্তবতা। এটা সরকার মানুক বা নাই মানুক। কারণ সরকার ছাড়া আর সবাই একবাক্যে বলছে যে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি।”
জবাবে মতিয়া চৌধুরী পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের উদাহরণ টেনে বলেন সেখানে সাতজন মারা গেলেও জাতিসংঘ থেকে সেখানে ফোন করা হয়নি। তিনি প্রশ্ন তোলেন বাংলাদেশের ক্ষেত্রেই কেন উপদেশ দেয়া হচ্ছে?
বাংলাদেশের অবস্থা একটা সময় ‘ঢেঁকির মতো’ ছিল বলে মতিয়া চৌধুরী উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন , “ঢেঁকিতে যেমন সবাই একটা করে লাথি মারে, বাংলাদেশকে সেভাবেই লাথি মারার পর্যায়ে আমরা নিয়েছিলাম। এখান থেকে আমরা বের হয়ে আসছি এটা অনেকের পছন্দ নয়।” (তথ্যসূত্র- বিবিসি)
চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/এএস/ডিএইচ/২০১৫