জাতিসংঘ পাবলিক সার্ভিস ডে আজ

২৩ জুন বৃহস্পতিবার ‘জাতিসংঘ পাবলিক সার্ভিস ডে’। বাংলাদেশেই নয় জাতিসংঘের উদ্যোগে সারা বিশ্বেই দিবসটি পালিত হচ্ছে। দিবসটি পালনের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় দায়িত্ব পালন করে থাকে।

ওইদিন ভালো কাজের জন্য প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পুরস্কার দেয়ার রেওয়াজ রয়েছে। এ বছর দিবসটি পালনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ একত্রে কাজ করছে। প্রতিবছর পাবলিক সার্ভিস ডে পালনের প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করে থাকে।

আমাদের দেশে সিভিল সার্ভিসে প্রবেশকালে কর্মকর্তাদের ধারণা দেয়া হয়- ‘সিভিল সার্ভিসের জন্য জনগণ নয় বরং জনগণের জন্যই সিভিল সার্ভিস।’ বাস্তবে এর উল্টোটাই ঘটছে।

দীর্ঘদিন থেকেই সিভিল সার্ভিসকে জনকল্যাণমূখী ও সেবাধর্মী করতে চেষ্টা করছে সরকার। কর্মকর্তারা এখনো তাদের মনমানসিকতায় জনগণের সেবক হিসেবে গড়ে তুলতে পারেননি। তারা একজন শাসক বা কর্মকর্তা হিসেবেই নিজেকে দেখতে ভালোবাসেন।

পাবলিক সার্ভিস ডে-তে দক্ষ, সৎ ও মেধাবী কর্মকর্তারা পুরস্কার পাওয়ার বিধান রয়েছে। প্রশাসনের কাছে জনগণের যে প্রত্যাশা সেটা পূরণ করা প্র্রশাসনের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব। কোনো কোনো কারণে বড় কর্মকর্তাদের দুর্নীতি, স্বজন প্রীতি, অনিয়ম ও রাজনৈতিক দলের প্রতি অধিক আনুগত্যে তা’ করতে পারছে না ।

কেউ ক্ষমতায় থেকে পদোন্নতিতে হস্তক্ষেপ করলে কাংখিত ও দক্ষ প্রশাসনিক কর্মকর্তা পাওয়া সম্ভব নয়। অবস্থা এমন এক পর্যায়ে দাঁড়ায় প্রমোশন ও রাজনৈতিক আনুগত্য সমানতালেই চলে।

ফলে অনেক মেধাবীরা স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমায়।এদিকে মাঠ প্রশাসনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অফিসের মধ্যে রয়েছে ইউএনও অফিস, পুলিশ স্টেশন, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, ভূমি অফিস ইউনিয়ন কার্যালয় ও অন্যান্য সরকারি অফিস ।

এ সব অফিসের সঙ্গে সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ত বেশি। বিশেষ করে সরকারি কোনো কেনা অফিসে ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ হয় না। এখানে জনগণ সেবার চেয়ে হয়রানির শিকার হন বেশি।

এ ব্যাপারে জনগণকে সচেতন হওয়ার জন্যই প্রতিবছর জাতিসংঘ পাবলিক সার্ভিস ডে পালনের উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকে।

সম্পাদনায়- আবদুল গনি

: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৩:৩০ এএম, ২৩ জুন ২০১৬, বৃহস্পতিবার
ডিএইচ

Share