জাতীয়

নাগরিক সমাবেশ জাতির উদ্দেশে রাজনৈতিক বার্তা দেবেন প্রধানমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পাওয়া উপলক্ষে ১৮ নভেম্বর নাগরিক সমাবেশ করবে নাগরিক কমিটি। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে কয়েক মাস পর তিনি প্রকাশ্য জনসভায় ভাষণ দিতে যাচ্ছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ওইদিন জাতির উদ্দেশে বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনামূলক বার্তা দেবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন জানান, ওইদিন বেলা আড়াইটায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশ আয়োজনে নাগরিক কমিটি সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া জানান, প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি এ অনুষ্ঠানে দেশের বরেণ্য বুদ্ধিজীবী এবং বিভিন্ন পেশার উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিরা বক্তব্য তুলে ধরবেন।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন জাতীয় অধ্যাপক প্রফেসর ইমেরিটাস আনিসুজ্জামান। পরিচালনা করবেন নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার ও শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. আলীম চৌধুরীর মেয়ে ডা. নুজহাত চৌধুরী।

ভাষণে কী থাকছে জানতে চাইলে শীর্ষস্থানীয় দুই নেতা জানান, দেশবাসীর উদ্দেশে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে তার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করবেন তিনি। জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস-সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে জাতিগত ঐক্য প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দেবেন শেখ হাসিনা। জাতির জন্য থাকবে রাজনৈতিক বার্তাও।

আসন্ন নির্বাচন, নির্বাচনকালীন সরকার, বিএনপির সঙ্গে সংলাপ/সমঝোতা ইত্যাদি সময়ের আলোচিত প্রসঙ্গও উঠে আসতে পারে তার বক্তৃতায়।

সমাবেশ আয়োজনে জড়িত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ জানান, বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণ আজ শুধু বাঙালি জাতির নয়, বিশ্ব দলিল। দেরিতে হলেও ইউনেস্কো এটাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। আমরা এ ভাষণের মাহাত্য সেদিনের সমাবেশে তুলে ধরব।

সমাবেশে ইউনেস্কোর মহাসচিবের উদ্দেশে একটি অভিনন্দনপত্র পাঠ করা হবে। পরে তা তার কাছে পাঠিয়ে দেয়া হবে। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো ১৯৭১-এর ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী দেয়া বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে ১ নভেম্বর জরুরি বৈঠকে বসে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলী। ওই বৈঠক থেকে ৭ দিনের কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়। এর অংশ হিসেবে প্রথমে ৯ নভেম্বর সমাবেশ করার ঘোষণা দেয়া হলেও পরে আওয়ামী লীগের দফতর থেকে জানানো হয়, ৯ তারিখের পরিবর্তে ১৮ তারিখ অনুষ্ঠিত হবে এ সমাবেশ। আর তা আয়োজন করবে নাগরিক কমিটি।

আয়োজনে সংশ্লিষ্টরা জানান, বক্তব্যের ফাঁকে ফাঁকে কবিতা আবৃত্তি ও দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করা হবে। সমাবেশ শেষে থাকবে জমকালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ ১০ : ৩০ এএম, ১২ নভেম্বর, ২০১৭ রোববার
এইউ

Share