চাঁদপুর

জাটকা সংরক্ষণে চাঁদপুরে ১০২ অভিযানে ১০৫ জেলের কারাদণ্ড

মার্চ-এপ্রিল দুই মাস জাটকা সংরক্ষণ কর্মসূচি এক মাসের অধিক সময় পার হয়েছে। মার্চ মাসের ১ তারিখ থেকে মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) পর্যন্ত জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্সের ১০২টি অভিযান পারিচালিত হয়।

এসব অভিযানে আটক জেলেদের মধ্যে ১শ’ ৫জন জেলেকে ৬৭টি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়। এর মধ্যে দুই বছরের সাজাই বেশী।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ইলিশের পোনা জাটকা সংরক্ষনে এ বছর প্রশাসন খুবই তৎপর ছিলো। তারই আলোকে পদ্মা-মেঘান উপকুলীয় মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে মতলব দক্ষিণ, চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলার ৭০ কিলোমিটার অভয়াশ্রম এলাকায় ১ মাস ৪ দিনে ১০২টি অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানকালে টাস্কফোর্স কমিটির সদস্যরা ২৪টি মাছঘাট, ৩২৭টি আড়ৎ ও ২৪৯টি বাজার পরিদর্শন করেন। অভিযান কালে জাটকা নিধন অবস্থায়, বিভিন্ন জায়গায় পরিত্যাক্ত, বাসমান আড়ৎ এবং যাত্রী বাহী লঞ্চ থেকে ৩.৬৬৬টন জাটকা জব্দ করা হয়।

এছাড়াও একই সময় অন্যান্য মাছ আটক হয় ১.৬৬টন। যাত্রীবাহী লঞ্চ, ট্রলার, জেলেদের বাড়ী, জেলেদের নৌকা ইত্যাদি স্থান থেকে কারেন্টজাল আটক হয় ৮২.১৬৬ লক্ষ মিটার। যার আনুমানিক মূল্য ১৬৭১.৯৪ লাখ টাকা।

এসব ঘটনায় সংশ্লিষ্ট উপজেলা ও জেলা সদরে ১৩৫টি মামলা দায়ের হয়েছে। জরিমানা আদাল হয়েছে ১.০৩ লাখ টাকা। এসব অভিযান চলাকালীন সময়ে ৪৯টি জেলে নৌকা আটক করা হয়। এছাড়াও সোমবার বিকেলে মেঘনায় জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সবুর মন্ডলের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়।

এ সময় সাখুয়া এলাকা থেকে ১০টি মাছ ধরার নৌকা ও ১৬টি মঈজাল আটক করা হয়। জালগুলো পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে এবং নৌকাগুলো জব্দ করে রাখা হয়েছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সফিকুর রহমান চাঁদপুর টাইমসকে জানান, চলতি জাটকা সংরক্ষণ কর্মসূচীসহ ৪ বছর এই কাজে দায়িত্ব পালন করেছেন। বিগত ৪ বছর পূর্বে জেলেদের মাঝে যেসব মনোভাবছিলো তার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। কারণ অভিযান কালে অনেক সময় প্রশাসন বাঁধা ও আক্রমনের শিকার হয়েছেন। তবে জেলেদেরকে পর্যায়ক্রমে সচেতন করার কারণে তা এখন সহজ হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ‘চাঁদপুরের জেলেরা জাটকা নিধন না করলেও বহিরাগত জেলেরা এসে জাটকা নিধন করছে। যারা আটক হয়েছেন, এদের মধ্যে বেশিরভাগই বরিশাল, ভোলা, মুন্সীগঞ্জ ও শরীয়তপুর জেলার জেলে। তারাই চাঁদপুর নৌ-সীমানায় জাটকা নিধন করতে আসে। জাটকা সংরক্ষণ কর্মসূচীতে জনপ্রতিনিধিদেরকে পর্যায়ক্রমে সম্পৃক্ত করায় কাজ অনেকটা সহজ হয়েছে। জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষ এগিয়ে আসলে ব্র্যান্ডিং জেলা চাঁদপুর ইলিশ রক্ষায় সফল হবে।

প্রতিবেদক- মাজহারুল ইসলাম অনিক
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১: ৩৩ পিএম, ৪ এপ্রিল ২০১৭, মঙ্গলবার
ডিএইচ

Share