জাতীয় সম্পদ ইলিশের পোনা জাটকা রক্ষায় চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) অঞ্জনা খান মজলিশের নেতৃত্বে মেঘনা নদীতে অভিযান শুরু হয়েছে।
১ মার্চ সোমবার সকাল ১০টায় শহরের বড় স্টেশন মোলহেড তিন নদীর মোহনা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযানে নামেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা মৎস্য বিভাগ, কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ।
১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত প্রায় ৯০ কিলোমিটার অভয়াশ্রম এলাকায় দুটি স্পেশাল টিম ২৪ ঘণ্টা নদীতে কাজ করবে।
জেলা প্রশাসক বলেন, আমরা যদি জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষা করতে না পারি তাহলে ‘মাছে ভাতে ভাঙালি’ এ কথা বলতে পারব না। বিগত বছরে আমাদের অভিযানগুলো সফল হওয়ার কারণে এখন সুফল পাচ্ছি। দুই মাসের অভিযান সফল করার জন্য আমাদের সব প্রস্তুতি রয়েছে।
ডিসি বলেন, জাটকা ধরা থেকে বিরত থাকার জন্য গণমাধ্যমগুলো ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। এই কারণে অভিযান সফল করার জন্য আমরা উৎসাহ পাচ্ছি। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা অবশ্যই এই অভিযান সফল করব এবং জাতীয় সম্পদ রক্ষা করব।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, (এডিএম) দাউ হোসেন চৌধুরী, কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশন কমান্ডার লে. আসাদুজ্জামন, নৌ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেলাল উদ্দিন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুল বাকি, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা শাহনাজ ও চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রশিদ।
এদিকে সরেজমিন চাঁদপুর সদরের আনন্দ বাজার, টিলাবাড়ী, পুরাণ বাজার রনাগোয়াল, দোকানঘর, বহরিয়া, লক্ষ্মীপুর ও হরিণাঘাট এলাকা ঘুরে মেঘনা নদীতে কোনো জেলে নৌকা দেখা যায়নি। জেলা মৎস্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী দুপুর ২টা পর্যন্ত কোনো জেলে আটকের সংবাদ পাওয়া যায়নি।
জাটকা রক্ষায় মার্চ-এপ্রিল দুই মাস অভয়াশ্রম এলাকায় সব ধরনের মাছ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মওজুদ ও পরিবহন নিষিদ্ধ। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে সর্বোচ্চ দুই বছর কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।
চাঁদপুর করেসপন্ডেট,২ মার্চ ২০২১