Home / চাঁদপুর / ‘জাটকা এবং মা ইলিশ না খাওয়ার শপথ নিতে হবে’
‘জাটকা এবং মা ইলিশ না খাওয়ার শপথ নিতে হবে’

‘জাটকা এবং মা ইলিশ না খাওয়ার শপথ নিতে হবে’

প্রধান প্রতিবেদক | আপডেট: ১০:৫০ অপরাহ্ণ, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫, বৃহস্পতিবার

‘জেগে উঠো মাটির টানে’ শ্লোগান নিয়ে শুরু হওয়া চতুরঙ্গ জিপিএইচ ইস্পাত ৭ম ইলিশ উৎসবের ৩য় দিনের কার্যক্রম বৃহস্পতিবার জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সপ্তাহব্যাপী উৎসবের ৩য় দিনেও শিশু-কিশোরদের নিয়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, ইলিশ বিষয়ক গোল টেবিল ভাবনা, আলোচনা, গুণীজন সংবর্ধনা ও সংস্কৃতিবিষয়ক অনুষ্ঠান হয়।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় নজরুল সংঙ্গীত প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে কর্মসূচি সুচনা হয়। প্রতিযোগিতা শেষে বিকেল ৫টায় বিভিন্ন ইলিশ বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠকে অনুষ্ঠিত হয়।

ইলিশ রক্ষার আন্দোন নিয়ে মুক্ত মতামত প্রকাশ করেন মৎস্যজীবী নেতা আঃ মালেক দেওয়ান, সংঙ্গীত নিকেতনের অধ্যক্ষ স্বপন সেন গুপ্ত, সংঙ্গীত শিল্পি শুভ্ররক্ষিত,র্ আশিক বিন রহিম।

সন্ধায় আলোচনা ও গুনিজন সংবর্ধনা পর্বে চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক চাঁদপুর দর্পনের প্রকাশক ও সম্পাদক ইকরাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটোয়ারী দুলাল।

তিনি বলেন, ইলিশের জন্য চাঁদপুরের নাম বিশ্ব পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। আজ আমরা ইলিশ রক্ষার আন্দোলন করছি। সরকার ইলিশ রক্ষায় অনেক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। অথচ দস্যুজেলেরা নিষিদ্ধ সময়ে জাটকা ও মা ইলিশ নিধন করে। আমরা নিজেরাই যদি সেই জাটকা ও মা ইলিশ খাই তবে আন্দোলনের কোনো মূল্যই থাকবে না। আমাদের প্রত্যেক নাগরিকের শপথ নিতে হবে যে, আমরা কেউ মা ইলিশ এবং জাটকা খাবো না। তবেই আমাদের এই উৎসব সফল হবে।

চাঁদুরবাসী

তিনি বলেন, ইলিশ উৎসব আজ চাঁদপুর বাসীর প্রাণের উৎসবে রূপ নিয়েছে। এই উৎসবকে জাতীয় উৎসবে রূপ দিতে দলমত নির্বিশেষে সকলে এক সাথে কাজ করতে হবে। আমি কথা দিলাম এই ইলিশ রক্ষার আন্দেলনে আমি সব সময় নিজেকে সম্পৃক্ত রাখবো।

চতুরঙ্গের মহাসচিব হারুন আল রশিদের পরিচালনায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান কালু ভূঁইয়া বলেন, ইলিশ উৎসবে আমরা চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির পক্ষ থেকে সহযোগিতা করেছি। জাটকা রক্ষা সপ্তাহতে আমরা র‌্যালিসহ সকল কার্যক্রমে অংশ নেই। অথচ প্রায় ক’বছর ধরে আমাদের এই উৎসবে পার্টনার রাখা হয়নি। আমাদের এই উৎসবের সাথে সম্পৃক্ত করলে চাঁদপুরের ইলিশ উৎসবকে জাতীয় উৎসবে পরিণত করার বিষয়ে সহযোগিতা করতে পারবো। ইলিশ উৎসবকে সত্যিকারে উৎসবে রূপ দেয়ার জন্য চতুরঙ্গের সকলকে ধন্যবাদ জানাই।

নৃত্য

তিনি বলেন, ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর জাটকা রক্ষা করার ঘোষণা করা হয়েছে। জাটকা এবং মা ইলিশ নদীতেই রক্ষা করতে হবে। নদী থেকে উঠে এলে তা আটক করলে কোনো লাভ নেই। আজ থেকে আমাদের শপথ নিতে হবে, জাটকা এবং মা ইলিশ খাবো না। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘসময় দস্যু জেলেরা নদীতে জাল ফেলে জাটকা এবং মা ইলিশ নিধন করে। এ ব্যাপারে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। দল মত নির্বিশেষে আমাদের জাটকা এবং মা ইলিশকে রক্ষা করতে হবে। তবেই প্রকৃত অর্থে সরকার এবং আমাদের সকল চেষ্টা সফল হবে।

আলোচনা পর্বে আরো বক্তব্য রাখেন ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি এমএ লতিফ, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন ইকরাম, সংস্কৃতিসেবী কামরুজ্জামান মন্টু প্রমুখ।

আলোচনা পর্বে ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার নব নির্বাচিত কার্যকরী কমিটিকে ফুলেল সংবর্ধনা এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের কোটপিন এবং ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

রাত ৮টায় বিভিন্ন বিভাগের সংঙ্গীত প্রতিযোতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার ও সনদপত্র তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।

চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/ এমআরআর/২০১৫