চাঁদপুরে জরিমানা করেও থামানো যাচ্ছেনা মানুষ, একদিনে রেকর্ড শনাক্ত

চাঁদপুরে সরকার ঘোষিত কঠিন লকডাউনে মামলা এবং জরিমানা করেও থামানো যাচ্ছেনা সাধারণ মানুষ। লকডাউনের প্রথম থেকে ৭ম দিন বুধবার পর্যন্ত চাঁদপুরের জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, সেনাবাহিনী, বিজিবি এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগন সার্বক্ষণিক মাঠে থাকলেও এই কঠিন নজরদারিকে উপেক্ষা করে নানা অজুহাতে বাইরে বের হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এতে করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি ও বাড়ছে দিন দিন।

এদিকে ৭ জুলাই বুধবার চাঁদপুরে একদিনে রেকর্ড সংখ্যক ৯৪ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৯.১৬%।

প্রতিদিনই চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে করোনা ইউনিটে (আইসোলেশন ওয়ার্ডে) বাড়ছে ভর্তি রোগীর সংখ্যা। করোনা শনাক্তের জন্য প্রতিদিনই জমা পড়ছে রোগীদের স্যাম্পল। আর তাতে শনাক্ত হচ্ছে একাধিক করোনা রোগী।

আরও পড়ুন…চাঁদপুরে একদিনে ৯৪ জনের করোনা শনাক্ত

গত কয়েকদিন ধরে চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন স্থানে সরোজমিনে দেখা গেছে,একদিকে প্রশাসন সাধারণ মানুষকে ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। অন্যদিকে বিনা কারণেই মানুষজন রাস্তায় হাঁটা চলা করছেন। এসব সাধারণ জনগনের প্রশাসনকে দেখলেই তারা চোর-পুলিশ খেলায় মেতে গা ঢাকা দিয়ে নিজেদেরকে রক্ষা করেন। আবার কেউ কেউ প্রশাসনের সম্মুখীন হলে নানা অজুহাত দেখিয়ে অনুনয় বিনয় করে সেখান থেকে কেটে পড়ছেন।

এছাড়াও সরকার ঘোষিত এই কঠোর লকডাউনে পুলিশ প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে রিকশার পাশাপাশি ফাঁকে ফাঁকে অন্যান্য যানবাহন চলতে দেখা গেছে।

আবার কেউ কেউ বলছেন, হাসপাতালে রোগী ভর্তি কিংবা তাদের পরিবারের মানুষ অসুস্থ এমন মিথ্যা অজুহাতে মার্কেটের উদ্দেশ্যে শহরে বের হচ্ছেন অনেকে।

নানা অজুহাতে বাহিরে মানুষ

এদিকে চাঁদপুরে চলমান এক সপ্তাহের ‘কঠোর লকডাউন’ বাস্তবায়ন ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করণে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ এবং উপজেলা প্রশাসন একযোগে কাজ করছে। তাদের সহযোগীতা মাঠে রয়েছেন সেনাবাহিনী, বিজেবি, আর্ম পুলিশ ও আনসার ব্যাটেলিয়ন সদস্যরা।
প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন। এতে অনেককেই মামলা করে অর্থদন্ড আদায় করা হয়েছে।

চলমান লকডাউনের ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই বুধবার পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপি লকডাউনে জেলা প্রশাসন প্রায় ১শ’ টির উপরে মোবাইল কোর্টে সর্বমোট ৮৮১টি মামলায় ৭ লাখ ৮০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করা হয়েছে। লকডাউন বাস্তবায়নে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের এমন মোবাইলকোর্ট নিয়মিত অব্যাহত থাকবে বলে জানা গেছে।

কিন্তু চাঁদপুরে করোনা সংক্রমনের এমন ঝুঁকির মধ্যেও নিয়মিত স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না অধিকাংশ সাধারণ মানুষ। তারা প্রশাসনের এমন কঠিন নজরদারীকে উপেক্ষা করেও নানা অজুহাত বাহিরে বের হচ্ছে। এতে করে চাঁদপুরে করোনা সংক্রমনের ঝুঁকিও থেকে যাচ্ছে।

প্রতিবেদক: কবির হোসেন মিজি, ৮ জুলাই ২০২১

Share