সাতদিনের কঠোর লকডাউনে বিধিনিষেধ মানাতে মাঠে কঠোরভাবে কাজ করছে মতলব উত্তর উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ। স্বাস্থবিধি না মানায় বৃহস্পতিবার, শুক্রবার, শনিবার ও রোব্বার ৪ দিনে ৩৭ জনকে ৪২ হাজার ৫শ’৫০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গত চার দিনে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন। স্বাস্থ্যবিধি মানাতে ব্যাপক প্রচার চালানো হচ্ছে। লগডাউনের চার দিনই দোকানপাট বন্ধ ছিল, রাস্তাঘাটও ফাঁকা ছিল। তবে কিছু মানুষ বের হলে বিধিনিষেধ অমান্য করার কারনে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার,শুক্রবার,শনিবার ও রোব্বার উপজেলার গালিমখাঁ বাংলা বাজার, কালির বাজার, বেলতলী বাজার, কালীপুর বাজার জীবগাঁও, গজরা বাজার,নতুন বাজার,গজরা বাজার, রাঢ়ীকান্দি, নবুরকান্দি, নাউরী বাজার, ইসলামিয়া মার্কেট (নতুন বাজার), আমিরাবাদ বাজার, জনতা বাজার, মতলব সেতু সহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী শরিফুল হাসান।
বৃহস্পতিবার লকডাউনের প্রথম দিনে ১০ জন পথচারীকে প্রায় ৯ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয় এবং শুক্রবার বিধিনিষেধ না মানায় ১০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ১১ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং শনিবার তৃতীয় দিনে ১৪ জন ব্যাক্তিকে ১৪ হাজার ৭শত ৫০ টাকা জরিমানা করা হয় ৷
৪ জুলাই রোববার লকডাউনের চতুর্থ দিনেও কোভিড-১৯ বিস্তার রোধকল্পে সরকার ঘোষিত লগডাউন বাস্তবায়নে উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজী শরিফুল হাসান মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর বাজার, ষাটনল বাজার ও লঞ্চঘাট, কালীপুর বাজার ও লঞ্চঘাট সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। এসময় ০৩ ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে ৭ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
বৃহস্পতিবার লকডাউনের প্রথম দিনে ১০ জন পথচারীকে প্রায় ৯ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা, দ্বিতীয় দিন শুক্রবার বিধিনিষেধ না মানায় ১০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ১১ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা, শনিবার তৃতীয় দিনে ১৪ জন ব্যাক্তিকে ১৪ হাজার ৭শত ৫০ টাকা, রোববার চতুর্থদিনে ৩ জন ব্যাক্তিকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজী শরিফুল হাসান বলেন, সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে আমরা সর্বদা মাঠে আছি। কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সবাইকে বিধিনিষেধ মানতে হবে। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে ৷
এ সময় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন ফয়সাল, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আফরোজা হাবিবা শাপলা, মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ শাহাজাহান কামাল অভিযান বিভিন্ন সময় অংশ নেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক