চাঁদপুর সদর

কল্যান্দীতে আপোষ বন্টক অস্বীকার করে জমি দখলের চেষ্টা

চাঁদপুর সদর উপজেলার কল্যানপুর ইউনিয়নের কল্যান্দী গ্রামের ভূঁইয়া বাড়িতে মঙ্গলবার (০২ মে) সকালে জমি সংক্রান্ত বিরোধ মিমাংশার জন্য সালিশ বৈঠককে বসার পরেও তা উপেক্ষা এবং আপোষ বন্টককে অস্বীকার করে জোর পূর্বক বসত ঘরের সামনে জমি দখলের চেষ্টা চালিয়েছে দৃবৃত্তরা। আর তাতে বাঁধা প্রধান করলে দৃবৃত্তরা বাদী পক্ষের নারীদের গায়ে হাত তুলে এবং অশ্লীল ভাষায় গাল মন্দ করেছে বলে বলে জানান ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন।

এ ঘটনায় বাদী পক্ষ চাঁদপুর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করলে ঘটনাস্থলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌঁড়ে পালিয়ে যায় দখল বাজরা।

ওই বাড়ির কাবিল ভূঁইয়া জানান, ১৯৭২ সালে তার পিতা মৃত আব্দুল মালেক ভূঁইয়ার ১২ শতাংশ জমি নিয়ে পার্শ¦বর্তী বাড়ির মৃত শামছল হক খানের সাথে আপোষ বন্টক হয়। তারা তাদের বন্টককৃত ১২ শতাংশ জমিও তাদেরকে বুঝিয়ে দেন। আর তারাও একই ভাবে ওই জমি তাদেরকে দেন। কিন্তু এক পর্যায়ে বাড়ির ভাগ ভাটোয়ারা করতে গিয়ে দেখা যায় শামছল হক খান যে জমি আব্দুল মালেক খানকে দিয়েছেন তা ১২ শতাংশ জমি থেকে ৪ শতাংশ কম।
এ নিয়ে শামছল হক খানের তিন পুত্র আবদুল হক খান, আবদুল ওহাব খান, খোরশেদ খান ও তাদের ছেলেরা ওই আপোষ বন্টককে অস্বীকার করে কাবিল হোসেন ভূঁইয়া গংদের সাথে বিরোধ সৃষ্টি করে। তারই সূত্র ধরে ঘটনার আগের দিন তা মিমাংশার জন্য উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে স্থানীয় মেম্বার ও গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গসহ সালিশ বৈঠক বসে। কিন্তু আব্দুল হক খানরা প্রথমে সম্মত্তি দিয়েও পরের দিন সকালে তা অমান্য করে ওই এলাকার বখাটে লোকজন ভাড়া করে জোর পুর্বক তাদের বসত ঘরের সামনের উঠোনের মাটি কেটে ঘর উঠার প্রস্তুতি নেয়।

এসময় কাবিল হোসেনের পরিবারের লোকজন তাতে বাঁধা প্রধান করলে দখলদাররা বাদী পক্ষের নাজির হোসেন ভূঁইয়ার স্ত্রী পারভিন আক্তার ও মানিক বেপারির স্ত্রী সীমা বেগমের গায়ে হাত তুলেন এবং তাদের পরিবারের লোকজনকে অশ্লীল ভাষায় গাল মন্দ করেন।

তাদের এমন জবর দখল দেখে কাবিদ হোসেন খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে থানার এসআই আহাদ হোসেন ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এসময় তারা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় বলে তারা জানান।

এ ব্যাপারে স্থানীয় মেম্বার মো. সেলিম জানান, মঙ্গলবার তাদের এ বিরোধ মিমাংশার জন্য উভয় পক্ষের মতামত নিয়ে আমরা সালিশে বসেছি। কিন্তু তারা তা অমান্য করে আবার কাবিল হোসেনদের বসত ঘরের সামনে মাটি কেটে ঘর উঠানোর জন্য প্রস্তুতি নেয়।

এ বিষয়ে আবদুল হক খানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা কাউকেই মারধর করিনি। সোমবার সালিশ বসেছে ঠিক কিন্তু নামাজের সময় হয়ে যাওয়ায় আমরা নামাজ পড়ে এসে দেখি সবাই চলে গেছি। এজন্য আজ আপনারা আজ জোর করে জায়গা দখল করতে গিয়েছেন ? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন কথাই বলেননি।

প্রতিবেদক- কবির হোসেন মিজি
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১২ : ১০ এএম, ৩ মে ২০১৭, বুধবার
এইউ

Share