চাঁদপুর

জন্মসনদ যাচাই-বাছাই করে দিবেন : জনপ্রতিনিধিদের প্রতি ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক

চাঁদপুরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন,ইউনিয়ন পর্যায়ের আপনারা যে জন্মসনদপত্র নাগরিকদেরকে দিচ্ছেন, এগুলো খুব ভালোভাবে যাচাই বাছাই করে দিবেন। কারণ সঠিকভাবে জন্মসনদপত্র না দেয়ায় দেশের বিভিন্ন জেলায় চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা জেলে আছেন। চাঁদপুর শহর কিংবা উপজেলা পর্যায়ে যদি কেউ এই ধরণের কাজে জড়িত হন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কি ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ হবে তা আমি এখন বলতে পারছি না। অনেক চাকুরীও যেতে পারে। তাই আপনারা সতর্ক হয়ে কাজ করবেন এবং যে কোন সমস্যা হলে আমার সাথে যোগাযোগ করবেন।

৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে এলজিএসপি-৩ প্রকল্পের মাধ্যমে কর্মপরিকল্পনা প্রনয়ন ও বাস্তবায়নের বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের অংশগ্রহনে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন,১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত হবে। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানগ সরকারিভাবে আপনাদের যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, সেই নির্দেশনার আলোকে প্রত্যেকটি ইউনিয়ন পরিষদে জন্মশতবার্ষিকীর কর্মসূচি পালন করবেন।

এসয় তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন (এসডিজি) ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আপনারা কাজ করছেন, এই কাজ আরো জোড়ালো ভাবে করতে হবে। আপনারা যদি ঠিক ভাবে কাজ না করেন, তাহলের সরকারের এই উন্নয়ন পরিকল্পনা সম্পন্ন হবে না।

স্থানীয় সরকারের পক্ষ থেকে আপনাদের সাথে সার্বিক যোগাযোগ রক্ষার জন্য মোবাইল সিমকার্ড আজকে দেয়া হলো। যাতে করে আপনাদের সাথে একটি নেটওয়ার্ক তৈরী হয়।

সভায় উপস্থিত সকল চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে কথা শুনেন জেলা প্রশাসক।

মুজিবর্ষ উপলক্ষ্যে স্থানীয় সরকার এর কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে: মাসব্যাপী ডিজিটাল সেবা কার্যক্রম সম্পর্কে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে প্রচারণা ও সেবা প্রদান। যুব সমাজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের সম্পৃক্ত করে প্রতিমাসে পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি পালন। ইউনিয়নের স্কুল ভিত্তিক গ্রামীন ও শীতকালীন গ্রামীন ক্রীড়ানুষ্ঠানের (হাডুডু, দাড়িয়াবান্ধা, গোল্লাসুট, দড়িলাফ) ইত্যাদি আয়োজন করবে।

প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদে ওয়ার্ড ভিত্তিক বৃক্ষরোপন কমূসূচি। শিক্ষার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহন। প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে গ্রামীন মহিলাদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা। বিশেষ ক্ষেত্রে বিকল্প বিদ্যুতের প্রয়োজনে সোলার প্যানেল সরবরাহ কর্মসূচি। ইউনিয়নের অন্তর্ভূক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বালিকাদের সেনিটারি বিষয়ে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান। শ্রেষ্ঠ আঙ্গিনা পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য পুরস্কার বিরতণ কর্মসূচি। পোষ্টার বিষয়ক প্রচারণা। ইউনিয়নের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ইউনিয়ন পরিষদের সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্যমান স্থানে একটি করে মুবিজবর্ষ স্মারক বৃক্ষরোপন।

প্রতিবেদক:শরীফুল ইসলাম

Share