জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কোন রোগী দেখেনি ডাক্তার, নিন্ম মানের খাবার বিতরণ ও উল্লেখ যোগ্য কোন ঔষধ দিচ্ছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১৭ মার্চ দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতাল নয় যেন কোন বাজারে প্রবেশ করেছি। জন সমাগম আর অপরিচ্ছন্নতায় চেয়ে গেছে পুরো হাসপাতাল। যেখানে সরকার কোরনা ভাইরাস নিয়ে শংকায় রয়েছেন, সেখানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিয়মের তোয়াক্কা না করেই এহেন কার্যকলাপ করেই আসছে। হাসপাতালে প্রায় ৫০ জন রোগী ভর্তি রয়েছে।
পর্যাপ্ত ডাক্তার থাকা সত্ত্বেও দুপুর ১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত ওয়ার্ডে ভর্তিরত কোন রোগীকে ডাক্তার দেখতে আসেনি। শুধু তাই নয়, সকালের নাস্তার সাথে স্পেশাল খাবার হিসেবে পায়েস দেয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা না দিয়েই পূর্বের খাদ্য তালিকার ডিম ব্যতিরেকেই ১টা রুটি আর ১টা কলা নাস্তা হিসেবে পরিবেশেন করেছে এবং প্যারাসিটামলসহ প্রায় সকল ঔষধ বাহির থেকে কিনতে হচ্ছে বলে ভর্তিরত রোগীরা জানান।
এ বিষয়ে হাসপাতালে ভর্তিরত রোগীরা চাঁদপুর টাইমসকে জানান, সকাল থেকে বেলা ১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত কোন ডাক্তার রোগী দেখতে আসেনি। আমাদেরকে ঠিকমত তারা ঔষধ দিচ্ছে না, এমনকি প্যারাসিটামল ও বাহির থেকে কিনতে হচ্ছে। সকালে নাস্তা হিসেবে ১ টি কলা, ১টি রুটি ব্যতিত অন্য কিছুই দেয়নি এবং এখন প্রায় ২ টা বাজে এখনো দুরের খাবার দেয়নি।
এ বিষয়ে হাসপাতালের আর এম ও ডা. কামরুল ইসলামের কাছে মুজিববর্ষ উপলক্ষে রোগীদের কি ধরনের সেবা ও খাবার দিয়েছেন? প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আজকে কোন বক্তব্য দেওয়া যাবে না, কালকে আসেন। পরে তিনি (ডা. কামরুল) কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ব্যতিত কোন কথা বলা যাবে না।
এক পর্যায়ে তিনি বলেন আপনারা কি জানতে চান, কর্তৃপক্ষ অনুমতি দিয়েছে। সকাল থেকে হাসপাতালের ওয়ার্ডে কোন ডাক্তার রোগী দেখার জন্য যায়নি? উত্তরে তিনি বলেন, সকলে মুজিবর্ষের অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত, জরুরী বিভাগে রোগী দেখা হয়েছে।
সকালের নাস্তা সম্পর্কে তিনি বলেন, নাস্তা হিসেবে রুটি, কলা, ডিম ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে মিষ্টান্ন হিসেবে পায়েস দিয়েছে। কিন্তু রোগীরা জানায়, ১টি কলা আর ১টি রুটি ব্যতীত অন্য খাবার দেওয়া হয়নি। ঔষধ সম্পর্কে ডাক্তার কামরুল ইসলাম আরো জানায়, রোগীদেরকে পর্যাপ্ত ঔষধ দেওয়া হয়। কিন্তু রোগীরা বলেন প্যারাসিটামল সহ সকল ধরনের ঔষধ বাহির থেকে কিনতে হচ্ছে আমাদের।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা, আশরাফ হোসেন চৌধুরী এ চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, তিনি সকাল থেকেই বিভিন্ন সভা সেমিনার নিয়ে বাহিরে ব্যস্ত থাকায় রোগীদের খোঁজ খবর নিতে পারেননি। তিনি আরো বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে রোগীদেরকে উন্নত মানের খাবার সরবারহ করতে বলেছি। কিন্তু কি কারনে ঠিক মত খাবার দেওয়া হয় নাই, তা আমার যানা নেই।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিউলী হরি বলেন, ‘আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত না, বিষয়টি সম্পর্কে যেনে আপনাদের জানাবো।’ এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখবো এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।’
শিমুল হাছান,১৭ মার্চ ২০২০