নোয়াখালি-৫ আসনের জনপ্রিয়তা নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য চলছে। গত রোববার নোয়াখালী-কুমিল্লায় ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ নিজ নির্বাচনী এলাকায় জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। তার এ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মওদুদ আহমেদ বলেছেন, সামান্যতম জনপ্রিয়তার নেই ওবায়দুল কাদেরের।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও ক্ষমতার বাইরে থাকা রাজনৈতিক দল বিএনপির নেতারা মাঝে মধ্যেই যে কোনো ইস্যু নিয়ে বাহাস করেন। যে কোনো ইস্যু নিয়ে এক দলের নেতা বক্তব্য দিলে পরের দিন আরেক দল পাল্টা বক্তব্য দিয়ে তার জবাব দেয়। নোয়াখালি-৫ আসনের কার জনপ্রিয়তা বেশি এ নিয়ে হয়তো আরও কয়েকদিন পাল্টাপাল্টি বক্তব্য চলতে থাকবে।
গত রোববার নোয়াখালী-কুমিল্লা সড়কের পদুয়ার বাজার এলাকায় সড়ক মেরামত কাজের পরিদর্শন করতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ নিজ নির্বাচনী এলাকায় জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। যে কারণে তিনি নানা অভিযোগ করছেন। তিনি আরও বলেন, গত ৯ বছর ধরে মওদুদ সাহেব এলাকায় যোগাযোগ বিচ্ছন্ন। তিনি এলাকায় কোন কাজ কর্ম করেন না, আসেন না। তাই ইস্যু তৈরির জন্য বিভিন্ন কথা বলছেন। খালেদা জিয়ার শারীরিক বিষয় নিয়েও মওদুদ সাহেব রাজনীতি খুঁজছেন।
অপরদিকে রোববার সকাল ১০টায় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে জাগো নিউজকে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, মন্ত্রী বাহাদুর ওবায়দুল কাদের যে জনপ্রিয় নন সেটি তিনি নিজে প্রমাণ করছেন আমাকে বাড়ির মধ্যে অবরুদ্ধ করে রাখার মধ্য দিয়ে। তার সামান্যতম জনপ্রিয়তা নেই। থাকলে এ ধরনের কর্মকাণ্ড করতেন না।
মওদুদ আহমদ আরও বলেন, পুলিশী পাহারায় আমাকে বাড়ির মধ্যে অবরুদ্ধ করে রাখা এবং দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে না দেয়ার ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। যা কিছু হয়েছে সেটি সরকারের পক্ষে যায়নি। এ ধরনের আচরণ যতদিন তারা করতে থাকবে ততদিন জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হতে থাকবে।
প্রসঙ্গত, বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে ইফতার ও ঈদ করার জন্য ঈদুল ফিতরের প্রায় এক সপ্তাহ আগে গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আসেন। কিন্তু বাড়ির সামনে পুলিশি পাহারা দিয়ে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয় এবং ঈদের দিন বিকেলে পুলিশ তাকে বাড়ি থেকে বের হতে দেয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ ঘটনার জন্য মওদুদ আহমদ পুলিশের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে দায়ী করছেন।