চাঁদপুর

জনপ্রশাসন পদকপ্রাপ্ত চাঁদপুরের ৬ কর্মকর্তার সাথে সাংবাদিকদের শুভেচ্ছা বিনিময়

জনপ্রশাসন পদকপ্রাপ্ত চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুস সবুর মন্ডলসহ ছয়জন শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তার সাথে চাঁদপুরের সাংবাদিকরা শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। রোববার (৩০ জুলাই) বিকেলে চাঁদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা ব্র্যান্ডিং কার্যক্রমের উপর জনপ্রশাসন পদক পাওয়া (দলগতভাবে) অপর পাঁচজন হচ্ছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আবদুল হাই, চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. এএসএম দেলওয়ার হোসাইন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ মাসুদ হোসেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ সফিকুর রহমান ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা।

তবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ মাসুদ হোসেন চাঁদপুরের বাইরে থাকায় সাংবাদিকদের এ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত থাকতে পারেন নি।

চাঁদপুর প্রেসক্লাবের আয়োজনে এ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানের শুরুতেই জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুস সবুর মন্ডল শুভেচ্ছামূলক বক্তব্য রাখেন। চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শরীফ চৌধুরীর সভাপ্রধানে ও সাধারণ সম্পাদক জিএম শাহীনের উপস্থাপনায় এ অনুষ্ঠানে উন্মুক্ত আলোচনা পর্বের আগে পদকপ্রাপ্ত পাঁচ কর্মকর্তাকে প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ ফুলেল শুভেচ্ছা ও শুভেচ্ছা স্মারক ক্রেস্ট প্রদান করেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আয়েশা আক্তারকেও ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।

জেলা প্রশাসক তাঁর বক্তব্যে জেলা ব্র্যান্ডিংয়ের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, জেলা ব্র্যান্ড মানে সকল কিছুর উন্নয়ন। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, শহর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা, পর্যটনসহ বিনোদন স্পট থাকা, মাদক, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিংমুক্ত হওয়া, এ জেলার মানুষের মনমানসিকতা উন্নত হওয়া, শহর যানজটমুক্ত থাকা ইত্যাদি। এক কথায় ভালো যা কিছু আছে তা বাস্তবায়ন করা এবং খারাপ যা কিছু আছে তা পরিহার করলে এসব জেলা ব্র্যান্ডিংয়ের আওতায় পড়বে। আর এটি চলমান বিষয়।

তিনি বলেন, একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে আমরা সর্বোচ্চ সম্মান পেয়েছি। এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর নেই। আমার বিশ্বাস, চাঁদপুর ছাড়া অন্য কোনো জেলায় হলে দলগতভাবে এ প্রাপ্তি আমাদের হতো না। আমরা এখন সেবাকে আরো গতিশীল করবো।
জেলা প্রশাসক ছাড়াও অন্য চারজন তাঁদের বক্তব্যে সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তাঁরা তাঁদের এ প্রাপ্তিতে চাঁদপুর জেলাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সেবাকে এ জেলার মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে আরো বেশি সচেষ্ট হবেন বলে জানান। আর সাংবাদিকরা তাঁদের বক্তব্যে চাঁদপুরে দৃশ্যমান কিছু বিনোদনমূলক উন্নয়ন করাসহ বিরাজমান কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরে এর সমাধানের উপর জোর দেন।

সাংবাদিকদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ হোসেন খান, সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ জালাল চৌধুরী, গোলাম কিবরিয়া জীবন, বিএম হান্নান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, গিয়াসউদ্দিন মিলন, রহিম বাদশা, সোহেল রুশদী, সাংবাদিক আবদুল আউয়াল রুবেল, পার্থনাথ চক্রবর্তী, আলম পলাশ, প্রচার সম্পাদক এএইচএম আহসান উল্লাহ, রিয়াদ ফেরদৌস, জাকির হোসেন, মাসুদ আলম, একে আজাদ।

করেসপন্ডেন্ট
: আপডেট, বাংলাদেশ ১১: ৫০ পিএম, ৩০ জুলাই ২০১৭, রোববার
ডিএইচ

Share