চাঁদপুর

‘জনপ্রতিনিধিদের মানসিকতা থাকতে হবে জনসেবা’

চাঁদপুরে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এলজিএসপি-২ জেলা পর্যায়ের কর্মশালায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আমির আবদুল্লাহ মঞ্জুরুল করিম

চাঁদপুরে দ্বিতীয় লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেষ্টের (এলজিএসপি-২) জেলা পর্যায়ের কর্মশালা রোববার চাঁদপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ ওয়াহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও চাঁদপুর এলজিএসপি-২ জেলা ফ্যাসিলিটেটর এসএম শাহরিয়ার রহমানের পরিচালনায় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সবুর মন্ডল।

বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আমির আবদুল্লাহ মঞ্জুরুল করিম, ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্মা জয়নাল আবেদীন, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি বি এম হান্নান, সাবেক সভাপতি ইকরাম চৌধুরী, কাজী শাহাদাত, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সোহেল রুশদী, চাঁদপুর টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি শরীফ চৌধুরী, অজয় কুমার ভৌমিক, হাজীগঞ্জের ইউপি চেয়ারম্যান মামুন মজুমদার, কচুয়া ইউপি চেয়ারম্যান আমির হোসেন প্রমুখ।

কর্মশালায় জেলার বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও সুধীজন অংশ নেয়।

কর্মশালায় এলজিএসপি-২ এর প্রকল্প প্রণয়নে ইউনিয়ন পরিষদের জবাবদিহিতা ও জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।

কর্মশালায় বক্তারা বলেন, এলজিএসপির প্রকল্পে ইউনিয়ন পরিষদের গ্রামীণ অবকাঠোমোর বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ করা হচ্ছে। বিশেষ করে রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নসহ বহুবিধ কাজ করা হয়।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আমির আবদুল্লাহ মঞ্জুরুল করিম বলেন, এলজিএসপির প্রকল্পে কাজ না করে টাকা উঠানার সুযোগ এখন আর নেই। মতলব দক্ষিণের একজন চেয়ারম্যান এ ধরনের অভিযোগে বরখাস্ত হয়েছেন। তাই কাজ না দেখে কোনো চেয়ারম্যান বা সচিব স্বাক্ষর করতে পারবে না। আমরা কোনো কাজ শুরু করলে মনিটরিংয়ের কারণে অনেক কাজ ভেস্তে যায়। কিন্তু এলজিএসপির ক্ষেত্রে এমনটা নেই। কারণ এখানে উন্মুক্ত সভায় জবাবদিহিতা রয়েছে। তথ্য অধিকার আইনে সকল কিছু সাধারণ মানুষ দেখতে পারছে। সরকারি কাজের টাকা কারো ব্যক্তিগত টাকা নয়। এ কাজের জন্য যে অর্থ বরাদ্দ তা আমাদের জন্য বহির্বিশ্বের ঋণ। জনপ্রতিনিধি কোনো চাকুরি নয়। এটা থেকে আয়ের উৎস হিসেবে নেওয়া ভুল। জনপ্রতিনিধিদের মানসিকতা থাকতে হবে জনসেবা। তাই কোনো ইউনিয়নে কাজের অবহেলা প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এলজিএসপি যেভাবে কাজ করার জন্য চাচ্ছে সে কাজটা মূলত জনগণের কাজ।

স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান তার বক্তব্যে বলেন, এ কর্মশালা হচ্ছে জনসচেতনতা সহায়ক। এর মাধ্যমে জবাবদিহিতার একটি জায়গা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার তৃণমূল পর্যায়ে উন্নয়নের জন্যই সারাদেশে এ ধরনের জনসচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করা হয়। চাঁদপুরের ৮৯ টি ইউনিয়নে প্রায় ৩‘শ টির মতো প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে উন্নয়ন করার জন্য চেয়ারম্যান ও পরিষদ নেতৃবৃন্দের আন্তরিকতা থাকতে হবে। এ সভা সরকারের মহতি উদ্যোগ সফল হবে।

কয়েকজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বলেন, এলজিএসপির কাজ করতে গেলে তাদেরকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত হতে হয়। এতে করে প্রকৃত উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি হয়। এ ধরনের নেপথ্যে প্রভাবমুক্ত রাখতে তারা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন। তবে এলজিএসপির কারণে মানুষের সচেতনতা বেড়েছে।

||আপডেট: ১০:০১ অপরাহ্ন, ১৩ মার্চ ২০১৬, রোববার

এমআরআর / এসআর

Share