Home / চাঁদপুর / চাঁদপুরে চাকুরিজীবী খাতে জনতা ব্যাংকে ৪৫ কোটি টাকা ঋণ বরাদ্দ : ২০ কোটি
JANATA--------1

চাঁদপুরে চাকুরিজীবী খাতে জনতা ব্যাংকে ৪৫ কোটি টাকা ঋণ বরাদ্দ : ২০ কোটি

চাঁদপুরে জনতা ব্যাংকের ১৭ শাখায় চাকুরিজীবী খাতে চলতি বছর ২০২৪-২০২৫ ৪৫ কোটি টাকা ঋণ বরাদ্দ রয়েছে। ব্যাংকের ভাষায় ইহাকে চাকুরিজীবী ঋণ বলা হয়।

এ অর্থ বছরে ২০২৪-২৫ বেসকারি স্কুল,মাদ্রাসা, কলেজ শিক্ষক-কর্মচারী ও সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের পারিবারিক আচার-অনুষ্ঠান,আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন,সাময়িক আর্থিক সমস্যা নিরসন,সন্তান-সন্তানাদির বিয়ে ইত্যাদির জন্যে শিক্ষক-কর্মচারীরার্ ঋণের আবেদন করে থাকেন। জনতা ব্যাংক চাকরিজীবী খাতের বরাদ্দ থেকে এ ঋণ প্রদান করে থাকে ।

বৃহস্পতিবার ৩০ জানুয়ারি চাঁদপুর জনতা ব্যাংকের আঞ্চলিক কার্যালয়ের একজন সিনিয়র কর্মকর্তার দেয়া এ তথ্যে বিষয়টি জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যে মতে, চাঁদপুর জেলার জনতা ব্যাংকের ১৭ টি শাখায় জানুয়ারি ২০২৫ সালে চাকরিজীবী খাতে চলতি বছরের ওই বরাদ্দ থেকে জানুয়ারি হতেে এপ্রিল পর্যন্ত ৫শ জন শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে ১৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা বিতরণ করেছে ।

প্রতি গ্রাহককে ১৩ % সরল সুদে ৬০ মাসের মধ্যে প্রতি মাসের কিস্তিতে ওই টাকা পরিশোধ করার বিধি রয়েছে। যে কোনো চাকরিজীবী গ্রাহক প্রতিমাসের বেতনের ১২ গুণ সম-পরিমাণ টাকা ঋণের জন্যে আবেদন করতে পারেন। একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত এ ঋণ গ্রহণ করতে পারে।

চাঁদপুর জনতা ব্যাংক আঞ্চলিক কার্যালয়ের সিনিয়র অফিসার চাঁদপুর টাইমসকে বলেন,‘জনতা ব্যাংকের এ স্কীমটি চাকুরিজীবীদের জন্যে একটি মাইলফলক। পারিবারিক নানাবিধ অর্থনৈতিক সার্পোট নেয়ার মত এটি একটি চমৎকার সুযোগ। ব্যাংক জামানতবিহীন একজন গ্রাহককে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিয়ে থাকে।

বিশেষ করে অস্বচ্ছল বেসকারি স্কুল,মাদ্রাসা,কলেজ শিক্ষক-কর্মচারী ও সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক চাকুরিজীবদের জন্যে এ স্কীমটি খুবই সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।’সহজেই ব্যাংকের এ খাতে শতভাগ ঋণ আদায়ও সম্ভব।’

প্রসঙ্গত, জনতা ব্যাংক ২০০৪ সালে এ স্কীম টি প্রবর্তন করে। দেশের বেসকারি স্কুল,মাদ্রাসা,কলেজ শিক্ষক-কর্মচারীদের মত চাকুরিজীবী ও সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকগণ যে সব শাখা থেকে নিজ নিজ বেতন-ভাতা উত্তোলন করেন তারাই কেবলমাত্র চাকুরিজীবী খাতের ঋণ পাওয়ার যোগ্য।

এ পর্যন্ত জনতা ব্যাংক চাঁপুরের শাখাগুলো প্রায় ১০ হাজার জনকে ঋণ দিয়েছে । যা শতভাগই আদায়যোগ্য । এখানে খেলাপি হওয়ার কোনোই সুযোগ নেই । কেননা বেসকারি স্কুল,মাদ্রাসা, কলেজ শিক্ষক-কর্মচারী ও সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতনভাতা যে শাখা থেকে উত্তোলন করেন সে শাখাই ঋণ প্রদান করে। প্রতিমাসে বেতন প্রাপ্তির সাথে অটোভাবেই একান্ডট থেকে ডেবিট হয়ে যায় ।

আবদুল গনি,
৩০ জানুয়ারি ২০২৫
এজি