Home / সারাদেশ / জনতার রোষানলে ইউএনও অবরুদ্ধ
জনতার রোষানলে ইউএনও অবরুদ্ধ

জনতার রোষানলে ইউএনও অবরুদ্ধ

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে ভ্রাম্যমান আদালত চলার সময় বিরূপ আচরণ করায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুস্তাফিজুর রহমান ও তাঁর ব্যবহৃত গাড়ি স্থানীয় জনতার প্রায় আধা ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার(২৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মোসলেম উদ্দীন ডিগ্রী মহাবিদ্যালয়ের গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে ।

ঘটনার সংবাদ পেয়ে হরিপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ও ওসি (তদন্ত) সায়েদুর রহমান ঘটনাস্থল এসে স্থানীয় জনতার সাথে কথা বলে ইউএনও মুস্তাফিজুর রহমান ও তাঁর ব্যবহৃত গাড়িটি উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

প্রত্যক্ষদর্শী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নগেন কুমার পাল জানান, “শুক্রবার সকাল ১১টার সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সংগীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে মোসলেম উদ্দীন ডিগ্রী মহাবিদ্যালয় গেটের সামনে মোটরসাইকেল আরোহীর ড্রাইভিং লাইসেন্স যাচাই ও নম্বর বিহীন মটরসাইকেল ধরার জন্য ভ্রাম্যমান আদালত বসান। এরপর ৩টি মোটরসাইকেল আটক করে প্রত্যেককে ২শ’ টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেন।”

তিনি আরো জানান, “আজ শুক্রবার শারদীয় দুর্গাপূজা হিন্দুদের প্রধান উৎসব বিজয়ী দশমীর দিন হওয়ার কারণে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে আর গাড়ি না ধরার জন্য ইউএনও মহাদয়কে অনুরোধ করলে সে গাড়ি ধরা বন্ধ করে দেন। এ সময় এক ব্যক্তি মটরসাইকেল নিয়ে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ তাকে থামানোর জন্যে সিগনাল দেয়। কিন্তু মটরসাইকেল আরোহী পুলিশের সিগনাল উপেক্ষা করে মটরসাইকেলটি না থামার কারণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমান কর্তব্যরত থানা পুলিশকে ওই মোটরসাইকেল চালককে গুলির নির্দেশ দেন। এতে উপস্থিত অনেকে ক্ষেপে গিয়ে তাকে ও তাঁর ব্যবহৃত সরকারী গাড়ি অবরুদ্ধ করে। ওসি (তদন্ত) সংগীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে তাকে মুক্ত করে নিয়ে যায়।”

এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “যারা ঘটনাস্থলে ছিল তাদের জিজ্ঞাসা করেন তাঁরাই ভালো বলতে পারবে। তিনি আরো বলেন গন্ডগোলের কথা লোকমুখে শুনে ঘটনাস্থলে আমি গিয়েছিলাম তবে আমি যাওয়ার আগেই ইউএনও সাহেব সেখান থেকে চলে এসেছিল।”

ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমানকে ০১৭৭০৭৯৯৪৭৭ নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

ওসি (তদন্ত) সায়েদুর রহমানকে ০১৭১৯৬৮৫৭৬৭ নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

থানা অফিসার ইনচার্জ আকতারুজ্জামান প্রধান বলেন, “বিষয়টা অবরুদ্ধ না। ইউএনও সাহেব ‘ রহস্য’ করে ঐ মটরসাইকেল আরোহী ব্যক্তিকে গুলি করতে বলার কারণে উপস্থিত স্থানীয় জনতার সাথে বাকবিতন্ডা হয়।”

 ।। আপডেট ০৬:১৩ পিএম ২৩ অক্টোবর, ২০১৫ শুক্রবার

প্রতিনিধি/ডিএইচ

কবিরুল ইসলাম কবির