বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক দুই বারের সফল মন্ত্রী স্বাধীনতা পদক প্রাপ্তবীর মুক্তিযোদ্ধা, চাঁদপুর -২ নির্বাচনী আসনের আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম বলেছেন,সারা দেশে বিএনপি জামায়াত হরতাল অবরোধের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। আগুন সন্ত্রাস,বাসে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। তারা নির্বাচনকে ভন্ডুল করতে চায়। এদের হাত থেকে পুলিশ, সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষ কেউই রক্ষা পায়না। তারা জ্বালাও পোঁড়াওতে বিশ্বাসী। আন্দোলনের নামে কোন ধরনের সন্ত্রাস, সহিংসতা করলে জনগণকে সাথে নিয়ে প্রতিহত করা হবে। তিনি বলেন,দেশে যথা সময়ে শেখ হাসিনার অধিনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চম বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হবেন ইনশাল্লাহ।
আজ বৃহস্পতিবার (০৯ অক্টোবর) বিকেলে মতলব উত্তর উপজেলার চরপাথালিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে উপজেলার সুলতানাবাদ ইউনিয়ন ও ইসলামাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যৌগে আয়োজিত উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এই প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম বলেছেন, উন্নয়নের রোল মডেল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই দেশে আগুন সন্ত্রাসীদের স্থান নেই। দেশের মানুষ তাদের এই আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ। তাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে দেশের জনগণ। নির্বাচন ছাড়া আগুন,সন্ত্রাস করে অন্ধকার গলি দেয়ে ক্ষমতায় আসা যাবে না। জনগণ আর তাদেরকে মেনে নিবে না। জনগণ বিএনপি জামায়াত এর হরতাল অবরোধ ও নৈরাজ্য এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রমের কারনে তাদেরকে বয়কট করেছে।
তিনি আরও বলেন, যারা অবরোধ ও নৈরাজ্যের মাধ্যমে মানুষ ও পুলিশ হত্যা করে তাদের সাথে সংলাপ হতে পারে না। যে কোন সময়ে তফসিল ঘোষণা করা হবে। সংবিধান অনুযায়ী সময় মতো শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দেশের জনগণ নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে আবারও নির্বাচিত করবে। শেখ হাসিনা পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হবেন।
তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলন গর্তে ঢুকে গেছে। আমি আগেই বলেছি তাদের আন্দোলন করার মোরদ নাই। তাদের মাজা ভাঙ্গা। চোরা গুপ্তা হামলা করে বাসে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করলে আন্দোলন হয়না আন্দোলনে জনগণের সমর্থন লাগে। তাদের সাথে জনগন নেই। শেখ হাসিনার বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ আর আগুন সন্ত্রাসের জায়গা নেই। তারা গাড়িতে আগুন দিতে আসবে, নির্বাচন বানচাল করতে আসবে তাদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে।
মায়া চৌধুরী আরো বলেন,একমাত্র নৌকা প্রতীক স্বাধীনতা ও উন্নয়নের প্রতীক। এই নৌকা মার্কায় ভোট প্রদানের জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানান।
উপজেলার সুলতানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুবকর সিদ্দিক খোকনের সভাপতিত্বে ও সুলতানাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুজিবুর রহমানের পরিচালনায় এ উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সদস্য ও দুই বারের সাবেক সফল মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম এর জ্যেষ্ঠ পুত্র সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম মাষ্টার,সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম হাওলাদার,গাজী ইলিয়াছুর রহমান,যুগ্ম-সম্পাদক আইয়ুব আলী গাজী,উপজেলা আওয়ামীলীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ও গজরা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হানিফ দর্জি, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বাবু রাদেশ্যাম সাহা চান্দু,মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক সিরাজুল মোস্তফা তালুকদার, ছেংগারচর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ মনির হোসেন বেপারী,উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পারভীন শরীফ,ফতেপুর পূর্ব ইউপির চেয়ারম্যান আজমল হোসেন চৌধুরী, মতলব উত্তর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী শরীফ হোসেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য রিয়াজুল হাসান রিয়াজ, বিশিষ্ট শিল্পপতি মানিক দর্জি, মতলব উত্তর উপজেলা ছাত্র লীগের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক তামজিদ সরকার রিয়াদ, দূর্গাপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান দেওয়ান আবুল খায়ের, মতলব উত্তর উপজেলা স্বেচ্ছঅসেবকলীগের আহবায়ক সিরাজুল ইসলাম ডাবলু,সুলতানাবাদ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আব্দুল কাদের জিলানী, যুবলীগ নেতা গফুর সরকার, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রব বেপারী,উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি খোরশেদ আলম,জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার ফখরুল ইসলাম রনি, স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আবুল হোসেন, সুলতানাবাদ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মোঃ কামাল হোসেন, মতলব উত্তর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-আহবায়ক মোঃ ফেরদাউস মিয়াজী, ইসলামাবাদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা মিঠু পাটোয়ারী, ইসলামাবাদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা মোঃ রিয়াদ প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, কলাকান্দা ইউপির চেয়ারম্যান আঃ সোবহান সরকার সুভা, জহিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান মোঃ সেলিম গাজী, আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির সদস্য শাহ আলম সিদ্দিকী, মোঃ আহসান উল্লাহ হাসান, উপজেলা যুবলীগের সদস্য হাসান মোরশেদ আহার চৌধুরী, ছেংগারচর পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির খান,পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান ঢালী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইকবাল হোসেন জুয়েল চৌধুরী,মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল হাই প্রধান, বাগানবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নান্নু মিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা বোরহান চৌধুরী, সাদুল্যাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু ইউসুফ, ছেংগারচর পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র আলহাজ্ব রুহুল আমিন মোল্লা, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি জহির রায়হান, পৌর কৃষকলীগের সভাপতি আব্দুল কাদের প্রধান,ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্র লীগের সাবেক সহসভাপতি রহমত উল্লাহ সরকার লিখন, উপজেলা যুবলীগের সদস্য কামরুল হাসান মামুন, উপজেলা মৎস্য জীবিলীগের সভাপতি নাইমুল হাসান লাভলু,সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহিন চৌধুরী, পৌর আওয়ামীলীগ নেতা জাহাঙ্গীর ভুইয়া,মোসলেম দেওয়ান, শাহজালাল খান,যুবলীগ নেতা হারুন-অর-রশিদ,এসএম নোমান দেওয়ান,খোরশেদ আলম,উপজেলা শ্রমিকলীগ নেতা শামীম প্রধান,ছেংগারচর সরকারি ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়ক মনির হোসেন, পৌর মৎস্যজীবিলীগের সভাপতি মোঃ জনি সরকার, পৌর মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মিল্লাতুনেছা মিলি, সাধারণ সম্পাদক শিউলী বেগম, উপজেলা যুবমহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক আকলিমা আক্তার, ছেংগারচর পৌর যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন, বাদল ঢালী, উপজেলা ছাত্র লীগের সদস্য জোবায়ের আহমেদ জনি, আরমান কাজী, সোহেল রানা,মাইন উদ্দিন,সহ আওয়ামী লীগ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন নেতাকর্মী এসময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবেদক: খান মোহাম্মদ কামাল, ৯ নভেম্বর ২০২৩