জনগণের সঙ্গে বিএনপি’র কোনো সম্পর্ক নেই: মায়া চৌধুরী

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্যমোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, বিএনপি যেহেতু জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, সেজন্য তারা নির্বাচনকে ভয় পায় এবং সে কারণেই নির্বাচন কমিশন নিয়ে তারা বিভিন্ন প্রশ্ন তুলছে। জনগণের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে, ধ্বংসাত্মক রাজনীতি করে জনগণ থেকে দূরে সরে গেছে, তাই তারা আসলে নির্বাচন করতে চায় না। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই নির্বাচন কমিশনার অধিনেই হবে। এতে কে নির্বাচনে আসল না আসলো দেখার কিছু নেই। বিএনপির জন্য তো নির্বাচন বসে থাকবেনা। সংবিধান অনুযায়ীই নির্বাচন হবে।বিএনপিকে জাতীয় প্রেসক্লাব এবং দেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো টিকিয়ে রাখছে। এই চ্যানেলগুলোতে যদি এদের দেখা না যেত তাহলে তাদের অস্তিত্ব খুজে পাওয়া যেত না। বিএনপি সংবিধান মানেনা,তারা আইন মানে না ,নির্বাচন কমিশনার মানে না। কাউকে যদি ক্ষমতায় যেতে হয়, তাহলে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে হয়। তারা সেটা না করে বিএনপির ভোট নাই বলে মিথ্যাচরের মধ্য দিয়ে পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার দ্বিবা স্বপ্ন দেখে। এ স্বপ্ন কোনো দিন পুরুন হবে না। বিএনপি আস্তে আস্তে বিলিন হয়ে যাবে।

১০ মার্চ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার উপজেলার বিভিন্ন পথসভা ও তার নিজ গ্রামের মোহনপুরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাকা মহানগর আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া আরো বলেন,বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে উন্নয়নের ভিত তৈরি করে দিয়েছেন। তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। তাঁর সাহসিকতা ও নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে প্রশংসিত। একদিকে উন্নয়নের জয়গান, অন্যদিকে শুরু হয়েছে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র।

মায়া চৌধুরী আরও বলেন, বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচনে ব্যর্থ, রাজপথ দখলে রাখতে ব্যর্থ। সবদিক দিয়ে ব্যর্থ বিএনপি নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে। আওয়ামীলীগ সরকারেও আছে, রাজপথেও আছে। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি এদেশের জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন আছে। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন কমিশনের অধীনেই হবে এবং সেই নির্বাচনে পঞ্চমবারের মতো বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামীলীগই আবারও ক্ষমতায় আসবে।

সামনের জেলা ও উপজেলার আওয়ামলিীগের সম্মেলনকে সর্ম্পকে কি ধরনের নেতারা দলীয় গুরুত্বপূর্ন পদে আসছেন সাংবাদিকদের এমন পশ্নের জবাবে মায়া চৌধুরী আরও বলেন,আগামী দিনগুলোতে জেলা ও উপজেলাগুলোতে সম্মেরনের মাধ্যমে দলের ত্যাগি,পরিক্ষিত নেতারাই বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন পদে স্থান পাবেন। কোনো অনুপ্রবেশকারী জামায়াত-বিএনপি,রাজাকার সাথে আতাতকারী কেই আওয়ামীলীগে স্থান পাবেনা। এমন নেতৃত্ব তৈরি করতে হবে যেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সেবার মানসিকতা নিয়ে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও অর্জনগুলো সাধারণ মানুষের মাঝে তুলে ধরে জনগণের আস্থা অর্জনে সফল হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে আগামীদিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দলের নিবেদিত প্রাণা কর্মীদের নিয়ে যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি করতে হবে।

বিএনপির উদ্দেশ্য মায়া চৌধুরী বলেন, বিএনপি যতই ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত করুক না কেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশকে থামিয়ে রাখা যাবে না। বিএনপির মির্জা ফখরুলরা যতই ঐক্যের জোট করার কথা বলুক না কেন তাদের দলের নেতা কর্মীরাই তাদের ঐক্যের সঙ্গে নেই। বিএনপি আজ জনবিচ্ছিন্ন দল। তাই বিএনপির লাফালাফি বেশি দিন থাকবে না। নির্বাচন যতই সামনে আসছে বিএনপি ততই হাঁকডাক করে যাচ্ছে। তারা আগুনের রাজনীতি করতে যাচ্ছে। জ্বালাও পুরাও তাদের মূল রাজনীতি। সব ছেড়ে শান্তির ভাষায় কথা বলুন অশান্তির কথা ছাড়ুন।

এসময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম হাওলাদার, ছেংগারচর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব রফিকুল আলম জজ, মোহনপুর ইউনিয়নের স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শামসুল হক চৌধুরী বাবুল, উপজেলা আ’লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজ সেবক গাজী মুক্তার হোসেন, উপজেলা যেুবলীগের সদস্য হাসান মোর্শেদ আহার চৌধুরী, ছেংগারচর পৌর আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনির হোসেন বেপারী, সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান ঢালী, ছেংগারচর পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির খান, উপজেলা আ’লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য আল মাহমুদ টিটু মোল্লা, ছেংগারচর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব রুহুল আমিন মোল্লা, পৌর আ’লীগের যুগ্ম-সম্পাদক মোঃ চাঁন মিয়া বেপারী, ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি মোঃ মোতালেব সরকার, ছেংগারচর পৌরসভার সাবেক কমিশনার খোকন প্রধান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি জহির রায়হান, উপজেলা শ্রমিকলীগ নেতা মোঃ খোরশেদ চৌধুরী, মোঃ শামীম প্রধান, জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মিনহাজ উদ্দিন খান,যুগ্ম-আহবায়ক তামজিদ সরকার রিয়াদ, ছেংগারচর পৌর স্বেচ্ছাসেবকরীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রিপন,ছেংগারচর পৌর কৃষকলীগের সভাপতি আঃ কাদির প্রধান, সাদুল্যাপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মিয়া, ছেংগারচর পৌরসভার কাউন্সিলর আঃ ছালমা খান, মোঃ জহিরুল হক ঢালী, মোঃ আল-আমিন সরকার, মোঃ রুহুল কুদ্দুস, মোঃ আহসান হাবীব, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ও ছেংগারচর পৌর মহিলালীগের সভাপতি মিল্লাতুনেছা মিলি,উপজেলা যুবলীগের সদস্য রুবেল মিয়া বাবু, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান কাজল,মোহনপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকরীগের সভাপতি শাহিন চৌধুরী, কলাকান্দা ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা শাহিন আলম, উপজেলা যুবমহিলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আকলিমা আক্তার, পৌর যুবলীগ নেতা বাদল ঢালী,রেজাউল করীম ডেঙ্গু,গজরা ইউনিয়ন যুবরীগ নেতা সোহেল রানা,সহ উপজেলা,ছেংগারচর পৌরসভা ও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

এ দিকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বৃহত্তর ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম এর আগমনকে স্বাগত জানিয়ে ছেংগারচর পৌরসভার বিশাল গণমিছিল ও মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা বের করা হয়। পৌর মেয়র আলহাজ্ব রফিকুল আলম জজ, ছেংগারচর পৌর আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনির হোসেন বেপারী, সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান ঢালী, ছেংগারচর পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির খান, উপজেলা আ’লীগের সম্মেলন প্রস্তÍুতি কমিটির সদস্য আল মাহমুদ টিটু মোল্লা, ছেংগারচর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব রুহুল আমিন মোল্লাসহ বিভিন্ন নেতাদের নেতৃত্বে গণমিছিলটি পৌরসভার প্রধান ফটক থেকে বের হয়ে ছেংগারচর বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক পদক্ষিন করে থানা রোডের চৌ-রাস্তা মোড়ে পথসভায় মিলিত হন। উক্ত পথ সভায় যোগদান করেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বৃহত্তর ঢাকা মহানগর আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।

এছাড়া উপজেলা যেুবলীগের সদস্য হাসান মোর্শেদ আহার চৌধুরী, উপজেলার কলাকান্দা ইউপি চেয়ারম্যান আঃ ছোবহান সরকার সূভা, মোহনপুর ইউনিয়নের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান তফাদার এরা শ্রীরায়েরচর ব্রীজ হইতে বিশাল মোটরসাইকেল শোভাযাত্রর মাধ্যমে মিছিল সহকারে মোহনপুর পর্যন্ত প্রিয় নেতার বাড়ি পর্যন্ত নিয়ে আসেন। বিভিন্ন পথে পথে প্রিয় নেতা মায়া চৌধুরীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এসময় তার সহধর্মিনী বৃহত্তর মতলব মহিলা আওয়ামীলীগের প্রধান উপদেষ্টা মিসেস পারভীন চৌধুরী ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু তার সফরসঙ্গি ছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক, ১০ মার্চ ২০২২

Share