Home / সারাদেশ / জনগণের আস্থার প্রতিদান সেভাবে দিতে পারিনি : ইকবাল মাহমুদ
Ikbal Mahmud

জনগণের আস্থার প্রতিদান সেভাবে দিতে পারিনি : ইকবাল মাহমুদ

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিদায়ী চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন,‘জনগণের আস্থার প্রতিদান সেভাবে দিতে পারিনি। আমি চেষ্টা করেছি। তিনি বলেন, ‘তবে একটি বার্তা দিতে পেরেছি যে, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়।’

সোমবার ৮ মার্চ সকাল ১১টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

গত ৫ বছর দায়িত্ব পালন করে তেমন তৃপ্তি পাননি বলে জানান দুদকের বিদায়ী চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। মঙ্গলবার (৯ মার্চ) তিনি বিদায় নিচ্ছেন দুদকের চেয়ারম্যান পদ থেকে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহকে নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।

গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে বিদায়ী মতবিনিময় সভায় ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘দুদকের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হচ্ছে দক্ষ জনবল না থাকা।’ দুদকের কাজ নিয়ে জনগণের আকাঙ্ক্ষা যেমন,দুদক সেভাবে কাজ করতে পারে না—যা সত্য নয় বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন,‘দুদক এখন যথেষ্ট শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান। আগের মতো এটিকে আর নখদন্তহীন বাঘ বলা যাবে না।’যতটুকু আইন রয়েছে, তার মধ্যে থেকেই দুদক অনেক কাজ করতে পারে বলে জানান তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন,‘দুদকের ওপরে সরকারের কোনও চাপ নেই। তবে মাঝে মধ্যে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে পারে,এমন দুই-একটি সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হয়েছে।’

বিদায়ী চেয়ারম্যান বলেন,‘গত ৫ বছরে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও দমনে দুদক সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। কারও ক্ষমতা ও প্রভাবের কাছে দুদক নতি স্বীকার করেনি।’

বেসিক ব্যাংকের তদন্ত শেষ করতে না পারা প্রসঙ্গে তিনি বলেন,‘বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির ঘটনায় এ পর্যন্ত ৬৫টি মামলা হয়েছে। আরও মামলা হবে। কিন্তু লুট করা টাকাগুলো পাচার হয়ে কোথায় গিয়েছে,তা এখনও নির্ণয় করা যায়নি। এজন্য এ মামলার তদন্ত শেষ করা যায়নি।’

বিদায়ের আগে ব্যক্তিগত সম্পদের বিবরণ জমা দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমার সম্পদের বিবরণী দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমি একা দিলে তো সেটা কেমন হয়। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আর কেউ তো দেয় না। তবে আমার ইচ্ছে ছিল সম্পদের বিবরণী দিয়ে যাবার।’

বার্তা কক্ষ , ৮ মার্চ ২০২১
এজি