সীমানা জটিলতা নিরসন করে সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণ-নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন: সাখাওয়াত হোসেন রনি

চাঁদপুর জেলা প্রশাসন-উপজেলা প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন,‘ চাঁদপুর সদরের অভ্যন্তরে কল্যাণপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন জটিলতা নিরসন করে অবাধ,শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও প্রভাবমুক্ত নির্বাচন দেয়ার কথা বলেছেন বর্তমান চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন পাটোয়ারী রনি। ’

মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় তাঁর ইউনিয়ন কার্যালয়ে তিনি এক সাক্ষাৎকারে চাঁদপুর টাইমসকে এ কথা জানান।

তিনি বলেন,‘ চাঁদপুর সদরের কল্যাণপুর ইউনিয়নে ৩০ হাজার লোকের বসবাস । তবে ভোটার সংখ্যা ১৪ হাজার ৫শ। ইউনিয়নের একটি অংশ চাঁদপুর পৌরসভার অন্তর্গত করে ১৫ নম্বর ওয়ার্ড করা হয়েছে। যার ফলে ইউনিয়ন পরিষদের ভোটারগণ উভয় জায়গা বা প্রতিষ্ঠান থেকেই সুযোগ সুবিধা নিচ্ছে। এতে সরকারের বিভিন্ন সেবামূলক কাজের ব্যাঘাত ঘটছে ও অপচয় হচ্ছে। একজন নাগরিক একই সুযোগ-সুবিধা দুটো জনসেবামূলক প্রতিষ্ঠান থেকে পেতে পারে না। কল্যাণপুর ইউনিয়নের সীমানার জটিলতার কারণে এটা হচ্ছে। প্রশাসনই এটা নিরসন করতে পারে। ’

তিনি আরো বলেন,‘ চাঁদপুর সদরের কল্যাণপুর ইউনিয়ন সি এস,আর এস ও বিএস পর্চায় থাকলেও ভৌগলিক পরিবেশের অবস্থানে ৬টি গ্রাম ও ৭টি চর নেই। বিভাজনের ক্ষেত্রে সরকারিভাবে কোনো কোনো ওয়ার্ডে ১০% এর বেশি জনসংখ্যার হেরফের থাকলে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মতে ওই এলাকায় হালনাগাদ ভোটার তালিকা প্রণয়ন করার কথা থাকলেও তা হয় নি।

জনসংখ্যা অনুপাতে একটি ইউনিয়নে উন্নয়ন বরাদ্দ প্রদান করা হয়ে থাকে। এ জটিলতার কারণে এসব ক্ষেত্রে জনগণ সরকারের নাগরিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এ ইউনিয়নবাসী।’

তাই ইউনিয়নের এ সব জটিলতা নিরসনে এবং ইউনিয়ন পরিষদের সীমানা নির্ধারণ করার পর একটি সুষ্ঠু,অবাধ , প্রভাবমুক্ত ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চেয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনি পাটোয়ারী।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে হাইকোর্টের ৩টি মামলার বিষয়ে তিনি বলেন,‘ ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন নিয়ম কানুন এর মধ্যে নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত বিধিতে রয়েছে- কোনো এলাকায় কোনো ইউনিয়নের সীমানা নির্ধারণ না থাকলে এবং ভোটারের হেরফের থাকলে হালনাগাদ ভোটার তালিকা প্রণয়ন করতে হবে এবং সীমানা নির্ধারণ সুস্পষ্ট করতে হবে। কিন্তু এক্ষেত্রে এ ইউনিয়নের তা হয়নি।’

তিনি বলেন,‘ সম্ভবত: হাইকোর্টে মামলা থাকা অবস্থায় কোনো এলাকায় নির্বাচনি তফসীল ঘোষণা করা যায় না বিধায় এ ইউনিয়নের নির্বাচন ঘোষণা হয়নি বলে জানি ।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি নির্বাচন বন্ধ রাখার ক্ষেত্রে কোনো মামলা করেনি। মামলা করেছে ইউনিয়নের জনৈক ব্যক্তি। তবে জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমার দায়িত্ব রয়েছে একটি সুন্দর পরিবেশে আমার ইউনিয়নটি পরিচালিত যাতে হয় সে ব্যবস্থা করা। তাই বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন ও জনগণের সেবা প্রদানে কাজ করে যাচ্ছি। ’

ইউনিয়নের সার্বিক উন্নয়নের কথা তুলে ধরে বলেন,‘রাস্তা-ঘাট পাকা করা,ব্রিজ, কালবার্ড নির্মাণ করা হয়েছে। এখন কোনো কাঁচা রাস্তা নেই। প্রয়োজন নদী রক্ষা বাঁধ। চাঁদপুরের শহরের উত্তরে এ নদী রক্ষা বাঁধ এলাকাবাসীর দাবি।’

সাক্ষাতকার গ্রহণে : আবদুল গনি
১৫ মার্চ ২০২২

Share