জঙ্গি দমনে দু’দেশ ‘ঘনিষ্ঠ মিত্র’ হয়ে কাজ করবে

জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশ ও ভারত একে অপরের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে কাজ করবে। আমরা আশা করছি যে, ভারত এবং বাংলাদেশ আরও গভীর সহযোগিতার মধ্য দিয়ে এই উপমহাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে, উন্নয়নের চাকাকে অগ্রগতি করবে।

বুধবার (২০ জুলাই) সচিবালয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা তথ্যমন্ত্রীর দফতরে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ভারত বাংলাদেশকে পূর্ণ সহযোগিতা দেবে।

বাংলাদেশ ও ভারত একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে পুরনো বন্ধু উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মাঝখানে অনেক চড়াই-উৎরাই গিয়েছে। এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাত বছর ধরে আমরা বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্ব আরও গভীর ও সম্প্রসারিত করেছি।

গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলা এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় আলোচনা হয়েছে বলে জানান তথ্যমন্ত্রী ও ভারতীয় হাইকমশিনার।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিককালে যে সন্ত্রাসবাদ হচ্ছে আমরা মনে করি সন্ত্রাসবাদ শুধু বাংলাদেশেরই সমস্যা নয়, সন্ত্রাসবাদ উপমহাদেশের সমস্যা, দক্ষিণ এশিয়ার সমস্যা। সেজন্য এটি মোকাবেলা করার জন্য আমাদের দিল্লি এবং ঢাকার ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা দরকার। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ সন্ত্রাসবাদ দমনে একসঙ্গে কাজ করবে।

সন্ত্রাস দমনে কী ধরনের সহযোগিতা চাইবে বাংলাদেশ জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, বন্ধু রাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে বহু রকমের চুক্তি আছে। তথ্যের আদান-প্রদানটাই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সাম্প্রতিককালে আমাদের মন্ত্রিপরিষদে একটি চুক্তি চূড়ান্ত করেছি, অপরাধী হস্তান্তর চুক্তি। অপরাধী হস্তান্তর প্রক্রিয়া সহজ করেছি। সব দিক থেকে মনে করি, সন্ত্রাসবাদ দমনে আমরা একে অপরের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে কাজ করবো।

সন্ত্রাসী হামলা সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ভারত বাংলাদেশকে পূর্ণ সহযোগিতা দেবে।

নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৪:০০ পিএম, ২০ জুলাই ২০১৬, বুধবার
ডিএইচ

Share