Home / উপজেলা সংবাদ / হাজীগঞ্জ / পৃথক ঘটনায় হাজীগঞ্জে ৩ শিশু শিক্ষার্থী নিখোঁজ
children

পৃথক ঘটনায় হাজীগঞ্জে ৩ শিশু শিক্ষার্থী নিখোঁজ

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় দুই মাদ্রাসার ছাত্রসহ তিন শিশু নিখোঁজ হয়েছে। এ ঘটনায় হাজীগঞ্জ থানায় পৃথক দুইটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছে। নিখোঁজ ছাত্ররা হলো, মাতৈন দারুল উলুম মাদরাসা ও এতিমখানার ছাত্র মো. রায়হান (১৫), হাজীগঞ্জ আল-কাউসার মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র সফিউল আলম (১২) ও আবদুল্লাহ (৩)।

সফিউল আলম গত ১১ জানুয়ারি পৌরসভাধীন মকিমাবাদ গ্রামের ভাড়া বাসা থেকে জুমার নামাজ পড়তে গিয়ে আর বাসায় ফেরেনি। সফিউল আলম কচুয়া উপজেলার কান্দিরপাড় গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে। ১২ জানুযারি রাতে জসিম উদ্দিন ছেলে নিখোঁজের ঘটনায় হাজীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

এর আগে গত ৬ জানুয়ারি দুপুরে হাজীগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত মাতৈন মাদ্রাসার নাজেরা বিভাগের আবাসিক শাখার ছাত্র রায়হান নিখোঁজ হয়। ৭ জানুয়ারি রায়হানের বাবা সোহাগ মিয়া হাজীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। রায়হান হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সাহাপুর গ্রামের সোহাগ মিয়ার বড় ছেলে। তিন ভাই বোনের মধ্যে রায়হান সবার বড়। রায়হানের খোঁজে তার বাবা মা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। রায়হান নিখোঁজের পর থেকে একাধিক মোবাইল নাম্বার থেকে ফোন করে পরিবারকে বিব্রত করা হচ্ছে।

মাতৈন মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মাওঃ আবু ইউছুফ জানান, ‘৭ জানুয়ারি জোহরের নামাজ আদায়ের পূর্বে প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দেওয়ার কথা বলে রায়হান মসজিদ থেকে বের হয়ে যায়। এরপর নামাজ শেষে মসজিদ ও মাদ্রাসায় দেখতে না পেয়ে তার বাবা-মাকে ফোন করে বিষয়টি জানানো হয়। বাবা মার পাশাপাশি আমরাও তার খোঁজ করছি।’

সফিউলের বাবা জসিম উদ্দিন বলেন, ‘হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের মকিমাবাদ গ্রামের শাহআলম সাহেবের ভাড়া বাসায় তারা থাকেন। সফিউল আল কাউসার মাদ্রাসার হেফজ বিভাগে পড়তো। নিখোঁজের পর তাকে আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে খোঁজ করেছি। কোথাও খুঁজে পাইনি। সফিউল কখনও একা কোথাও যায়নি।’

ভিক্ষুক পারুল বেগম জানান, ‘তিনি দিনের বেলায় চাঁদপুরে ভিক্ষা করেন। সন্ধ্যায় হাজীগঞ্জ বড় মসজিদ এলাকায় চলে আসেন। গত ৫ জানুয়ারি চাঁদপুর সরকারি কলেজ গেইট এলাকা থেকে তার তিন বছর বয়সী শিশু আবদুল্লাহ নিখোঁজ হয়। এখন পর্যন্ত তাকে খুঁজে পাইনি।’

হাজীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল মান্নান বলেন, ‘রায়হানের পরিবারকে বিভিন্নভাবে ফোন করে ভুল তথ্য দেওয়া হচ্ছে। ফোনকারীরা পরে মোবাইল বন্ধ করে রাখে। ধারণা করা হচ্ছে তারা কোনো প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়েছে। নিখোঁজের ডায়েরিগুলো গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

প্রতিবেদক:শরীফুল ইসলাম
১৬ জানুয়ারি,২০১৯

Leave a Reply