কচুয়ায় উদ্বোধনের অপেক্ষায় ঐতিহ্যবাহী সাচার দৃষ্টিনন্দন জগন্নাথ মন্দির। ১৫৩ বছরের ঐতিহ্যবাহী সাচার শ্রী শ্রী জগন্নাথ নান্দনিক সাজে এ মন্দিরটি আগামী ২ ফ্রেবুয়ারি উদ্বোধন করা হবে।
এশিয়া মহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রথযাত্রা উদযাপিত হয় সাচার জগন্নাথ মন্দিরে। নিপুন কারুকার্যে সমৃদ্ধ দৃষ্টিনন্দন প্রায় ৬০ ফুট উচু এই মন্দিরটি সনাতন ধর্মালম্বীদের জন্য দেশের অন্যতম ধমীয় তীর্থস্থান স্থাপনা হিসেবে রূপ নিয়েছে। মন্দিরটিতে চলছে শেষ প্রস্তুতি। শৈল্পিক কারুকাজ আর অপূর্ব নির্মাণ শৈলীতে দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠেছে এ মন্দির। পুরো মন্দিরটিতে দেয়া হয়েছে সাদা,আকাশী ও সোনালী রঙ্গের রং। আর কারুকাজ গুলো ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ময়ূরের পেখম ও ব্রোঞ্জ রঙ্গে।
সাচার জগন্নাথ ধাম পূজা ও সাংস্কৃতিক সংঘের সভাপতি বটু কৃষ্ণ বসু ও সিনিয়র সহ-সভাপতি নিখিল দাস বলেন, বৃহত্তম কুমিল্লা ও চাঁদপুর জেলায় এটাই সবচেয়ে ব্যয়বহুল মন্দির। এ মন্দিরের নির্মান ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২ কোটি টাকা। স্থানীয়রা জানান, দৃষ্টিনন্দন এ মন্দিরের অন্যতম স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন সাবেক সভাপতি প্রয়াত তিমির সেন গুপ্ত। তার হাত ধরেই এই মন্দিরের উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু হয়।
জানা যায়, হিন্দু সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী সাচার রথ ভারতীয় উপ-মহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কারুকার্য খচিত দৃষ্টিনন্দন জগন্নাথ দেবের রথ। জগন্নাথ দেবের এ রথটি সাচারকে দিয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের মাধে বিশেষ পরিচিতি। সাচারের এ রথটি তৎকালীন জমিদার গঙ্গা গোবিন্দ সেন বাংলা ১২৭৫ সনে নির্মান করেন। কচুয়ার সাচার রথটি অতি প্রাচীন। সনাতন ধর্মালম্বীদের নিকট এটি তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিত। ঐতিহ্যবাহী এ রথটি ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় পাকিস্তান হানাদার বাহিনী পুড়িয়ে ফেলে।
এরপর ভক্তরা বাশেঁর সাহায্যে রথ নির্মান করে রথযাত্রা উদযাপন করেন। পরে ২০০৪ সালে এ রথটি পুর্ননির্মাণ করা হয়। শিল্পীগন রথের চারপাশে কাঠ খোদাই করে বিভিন্ন দেবদেবী, পশুপাখি, লতাপাতা,ফুলফল,প্রভৃতি দৃষ্টিনন্দন কারুকার্য খচিত প্রতিকৃতি অঙ্কন করেন। এ রথযাত্রা ঘিরে প্রতিবছর হিন্দু সম্প্রদায়ের অগণিত ভক্তের এক মহামিলনার উৎসব অনুষ্ঠিত হয় এখানে।
প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু, ২৮ জানুয়ারি ২০২২