সুকুমার বড়ুয়া বাংলা ছড়া সাহিত্যে নিজের অবস্থান তৈরি করেছেন বৈচিত্র্য, সরস উপস্থাপনা, ছন্দ ও অন্তমিলের অপূর্ব সমন্বয়ে। তার ছড়া একেবারেই স্বতন্ত্র। প্রাঞ্জল ভাষায় আটপৌরে বিষয়ও তিনি ছড়ায় ভিন্নমাত্রা দিয়ে থাকেন। তার ছড়া যেমন বুদ্ধিদীপ্ত, তীক্ষè, শাণিত ; তেমনি কোমল।
আজ এ বাংলার ছড়াসাহিত্যের প্রধান ব্যক্তি হিসেবে যদি কারো নাম করতে হয়, তা হলে ‘সুকুমার বড়ুয়া’র নামটিই বেশি সমর্থন পাবে। কিংবদন্তি তুল্য এ ছড়াকারের আজ ৮১তম জন্মদিন। ১৯৩৮ সালের ৫ জানুয়ারি চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানার মধ্যম বিনাজুরি গ্রামে তার জন্ম। বাবা সর্বানন্দ বড়ুয়া। মা কিরণ বালা বড়ুয়া।
বাবা-মায়ের তিনি ১৩ তম সন্তান। সুকুমার বড়–য়ার পড়াশোনার হাতেখড়ি মামাবাড়ির স্কুলে। এর পর বড়দিদির বাড়িতে এসে ‘ডাবুয়া স্কুলে’ পড়েন দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত। আর এগোয়নি। বন্ধ হয়ে যায় অর্থনৈতিক সংকটে।
অল্প বয়স থেকেই তিনি বিভিন্ন সময় মেসে কাজ করেছেন। জীবিকা নির্বাহের জন্য ফলমূল, আইসক্রিম, বুট ও বাদাম ইত্যাদি ফেরি করে বিক্রি করেছেন।
১৯৬২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে চাকুরি জীবন শুরু করেন। ১৯৭৪ সালে পদোন্নতি পেয়ে তিনি তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হন।
১৯৯৯ সালে স্টোর কিপার হিসেবে অবসরগ্রহণ করেন। সুকুমার বড়–য়া তার সৃষ্টিশীল জীবনে ২৪টি পুরস্কার পেয়েছেন। এর মধ্যে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ও একুশে পদক অন্যতম।
বার্তা কক্ষ
৫ জানুয়ারি ২০১৯ , শনিবার