Home / সারাদেশ / ছোলার কোনো সংকট নেই, তবু বাড়ছে দাম
ছোলার

ছোলার কোনো সংকট নেই, তবু বাড়ছে দাম

দেশে ছোলার কোনো সংকট নেই। চাহিদার চেয়ে বেশি আমদানি হয়েছে। এরপরও অস্বাভাবিক বেড়েছে পণ্যটির দাম। দুই মাসের ব্যবধানে প্রতি কেজি ছোলার দাম বেড়েছে সর্বোচ্চ ২০ টাকা।

দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনায় গত ৪ জানুয়ারি সভা করেছে এ-সংক্রান্ত টাস্কফোর্স। সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশে ছোলার চাহিদা বছরে ১ লাখ ৫০ হাজার টন। এর মধ্যে শুধু রমজান মাসে চাহিদা থাকে এক লাখ টন। এই চাহিদার বিপরীতে প্রায় দুই লাখ টন ছোলা আমদানি হয়েছে। এ ছাড়া দেশে উৎপাদিত হয়েছে ৪ হাজার ৬০০ টন।

চাহিদার তুলনায় বেশি ছোলা মজুত থাকলেও গত দুই মাসে অসাধু ব্যবসায়ীরা কয়েক দফায় পণ্যটির দাম অস্বাভাবিক বাড়িয়েছেন। রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাব অনুযায়ী, গতকাল বুধবার রাজধানীর বাজারগুলোতে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হয়েছে ৯০-৯৫ টাকায়, যা এক মাস আগেও ছিল ৮৫-৯০ টাকা।

নারায়ণগঞ্জের ডাল ব্যবসায়ী বিকাশ চন্দ্র সাহা জানান, সাধারণত শবে বরাতের পর পাইকারি পর্যায়ে ছোলা বিক্রি শুরু হয়। কিন্তু এ বছর শবে বরাতের আগেই অনেক ভোক্তা রমজান মাসের জন্য ছোলা একত্রে কিনে রেখেছেন। তাঁদের বাজারে ভালো মানের প্রতি কেজি ছোলা ৮১ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ বছর কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানি কম হলেও ভারত থেকে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ ছোলা দেশে ঢুকছে বলে জানান এই ব্যবসায়ী।

এদিকে রাজধানীর পাইকারি ও খুচরা বাজারে ছোলার দামের পার্থক্যও বেশ। পুরান ঢাকার রহমতগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে পাইকারি বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি ছোলা ৮০-৮৩ টাকায় বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে দাম ৯০-৯৫ টাকা।

রাজধানীর বনশ্রী এলাকার মুদিদোকানি নাসির উদ্দিন জানান, এক মাস আগে তিনি প্রতি কেজি ছোলা ৯০ টাকায় বিক্রি করলেও বর্তমানে তা ৯৫ টাকায় বিক্রি করছেন। কেরানীগঞ্জের মুদিদোকানি আসাদুজ্জামান জানান, এক মাস আগে প্রতি কেজি ছোলা ৮০-৮৫ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বার্তা কক্ষ, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩